নিজের বড় সন্তানের চাঞ্চ’ল্যকর মৃ’ত্যু’র খবর শুনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পা’সে’ ছুটে এসেছেন নি’হ’ত আবরার ফাহাদের মা-বাবা। ক্যাম্পাসে এসেই ছেলের শো’কে কাঁ’দতে দেখা যায় আবরা’রের বাবাকে।কুষ্টিয়ার নিজ বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিটে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে এসে পৌঁ’ছেছেন বাবা বরক’তুল্লাহ ও তার চাচা জহুরুল ইস’লাম। এ সময় আবরারের মা সঙ্গে এলেও তাকে দেখা যায়নি।
ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় নিহ’ত আবরারের বাবাকে মনম’রা দেখা গেলেও হলের ক্যান্টি’নের কাছাকাছি এসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। এ সময় তার চাচা জহুরুল ইস’লাম চি’ৎকার করে কাঁ’দতে কাঁদতে পু’লিশের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।সাংবাদিকদের উদ্দেশে আবরারের চাচা বলেন, ‘আপনারা সত্য কথা লিখলে এবং বললে আবরার সঠিক বিচার পাবে।’বর্তমানে আবরারের বাবা ও চাচা হল প্রোভোস্টের রুমে আছেন। প্রভোস্ট তাদের সঙ্গে কথা বলছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদ মুজাহিদের র’হস্য’জনক মৃ’ত্যু’ হয়। তিনি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আবরারকে হলের সিঁড়িতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সকালে কয়েকজন সহপাঠী অচেতন অবস্থায় আবরারকে হাস’পাতালে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসক তাকে মৃ’ত’ ঘোষণা করেন।এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জ’নকে আ’ট’ক করেছে পু’লিশ। এছাড়া আব’রার হ’ত্যার ঘটনায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষো’ভ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।