রবিউল ইসলাম। বয়স ২৫। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার বাসিন্দা রবিউল। শখ করে একটি টিয়িা পাখি পোষেন এই যুবক। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে ওই পাখিটি খাঁচা থেকে ছেড়ে দিয়ে মাকে দেখতে বলে বাহিরে চলে যান রবিউল ইসলাম। বাড়িতে ফিরে দেখেন প্রিয় পাখিটিকে কুকুর মেরে ফেলেছে। এতে মায়ের সাথে অভিমান করে বিষপান করেন রবিউল। ছেলেকে বিষপান করতে দেখে বাবা আবুল হোসেনও (৭০) বিষপান করেন। আশংকাজনক অবস্থায় বাবা ছেলেকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্থানীয়রা জানান, দোলাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের বাড়িতে একটি টিয়া পাখি পোষতেন। শুক্রবার বিকেলে ওই পাখিটি খাঁচা থেকে ছেড়ে দিয়ে মাকে দেখতে বলে বাহিরে চলে যান ছেলে রবিউল ইসলাম। পাখিটি উঠানে ঘোরাফেরা করলে একটি কুকুর মেরে ফেলে। ফিরে এসে পোষা প্রিয় টিয়া পাখির মৃতদেহ দেখে রবিউল তার মায়ের সাথে ঝগড়ায় জড়ায়। এতে মায়ের সাথে অভিমান করে রবিউল ইসলাম বিষপান করে। ছেলেকে বিষপান করতে দেখে অভিমান করে রবিউলের বাবা আবুল হোসেনও বিষপান করে। স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের লোকজন বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রমজান আলী সময় সংবাদকে জানান, বাবা ছেলে দুই জনেই আশংকা মুক্ত। তবে সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগবে।