মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

মাত্র ২ লাখ টাকা দিয়ে দায় এড়াতে চায় ট্রাস্ট পরিবহন!

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৯
  • ১২৬১ Time View

বাংলামোটরে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণা রায়কে চাপা দেওয়া ট্রাস্ট পরিবহন কর্তৃপক্ষ ২ লাখ টাকা দিয়ে দায় সারতে চায়। এমন প্রস্তাব নিয়ে তারা গতকাল বুধবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপো-রেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কার্যালয়ে গিয়েছিল। সেখানে কৃষ্ণা রায় চৌধুরীর স্বামী রাধে দেব তাদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এরপরই হাতিরঝিল থানায় বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনার অভিযোগে মামলা হয়েছে। রাধে দেব বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় পরিবহনের মালিক, চালক মোরশদ ও অজ্ঞাত হেলপারকে আসামি করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির প্রধান চিকিত্সা কর্মকর্তা খন্দকার মাসুম হাসান গতকাল জানিয়েছেন, পঙ্গু হাসপাতালে চিকিত্সাধীন কৃষ্ণার বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলতে হবে। তার মাথায় দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষ্ণার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে ক্ষত ড্রেসিং করার জন্য তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বিছানায় রয়েছেন, কিন্তু প্রচণ্ড ব্যথার কারণে কাতরাচ্ছেন। বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সকালে হাসপাতালে গিয়ে কৃষ্ণাকে দেখে এসেছেন। সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

বিআইডব্লিউটিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মিশা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির তরফ থেকে দুর্ঘটনায় পা হারানো কৃষ্ণা রায়কে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমাদের প্রতিষ্ঠান বিআইডব্লিউটিসি তাদের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। সেখানে উপস্থিত কৃষ্ণা রায়ের স্বামী রাধে দেবও ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবে রাজি হননি। পরে মামলা হয়েছে।’

ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেসের একটি বাসের চাপায় মঙ্গলবার পা হারান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) সহকারী ব্যবস্থাপক (অর্থ) কৃষ্ণা রায় চৌধুরী। দ্রুতগতির বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতে উঠে যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণা রায়কে চাপা দেয় ট্রাস্ট পরিবহনের বাসটি।

জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মিশা বলেন, ‘তারা আমাদের বাংলামোটরের অফিসে এসেছিলেন। তারা বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেন। কেউই তাদের প্রস্তাবে রাজি হননি।’হাতিরঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুর রহমান বলেন, ‘ঐ দুর্ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার বাদী কৃষ্ণা রায়ের স্বামী রাধে দেব। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। পরিবহনের মালিক ছাড়াও চালক ও হেলপার আসামি। আমরা চালক ও হেলপারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin