শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন

ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৯
  • ১৪৭৮ Time View

অক্টোবরের শেষ দিকে নয়তো নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন পাক রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ। তিনি বলেন, এটাই হবে দুই দেশের মধ্যে শেষ যুদ্ধ। যুদ্ধ সামনে রেখে পাকিস্তান প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে আজ বুধবার ভারতের জনপ্রিয় বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে। এতে বিশেষ মর্যাদা হারিয়েছে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর। এরপর থেকে উভয় দেশের রাজনৈতিক নেতা ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বাগযুদ্ধ লেগেই আছে।

বুধবার রাওয়ালপিন্ডিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ।তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘অক্টোবরের শেষে এবং নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ দেখতে পাচ্ছি। তার জন্য দেশকে তৈরি করছি। মোদিকে চিনতে অনেক বড় বড় নেতা ভুল করেছেন, কিন্তু আমি ভুল করিনি।’

এখানেই থামেননি রশিদ। তিনি বলেন, ‘বর্বর ও ফ্যাসিস্ট নরেন্দ্র মোদির জন্যই পাকিস্তান ধ্বংসের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। মোদির সামনে পাকিস্তানই একমাত্র বাধা।’ এ সময় কাশ্মীর ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বের নির্বাক ভূমিকার কারণে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন।কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের করণীয় প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘২৫ কোটি মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তাই সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সরিয়ে আমাদের কাশ্মীরের দিকে হাত বাড়াতে হবে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে হবে। না হলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।’

এর আগে সোমবার তিনি বলেন, ‘পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত হামলা চালালে সেটা হবে সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা। সেই যুদ্ধ শুধু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা হলে গোটা উপমহাদেশের মানচিত্রই বদলে যাবে।’৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ নিয়ে জাতিসংঘের দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান। কিন্তু তাতে কোনো ইতিবাচক ফল আসেনি ইমরান সরকারের। সেই বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন রশিদ আহমেদ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, জাতিসংঘ এ নিয়ে চুপ কেন?

ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়া হয় ৫ আগস্ট। তার পরপরই বন্ধ হয়ে যায় ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করা দিল্লি-লাহোর সমঝোতা এক্সপ্রেস। মুনাবো খোকরাপাড় সীমান্ত দিয়ে যাতায়াতকারী যোধপুর-করাচি থর এক্সপ্রেসও বাতিল ঘোষণা করে ইসলামাবাদ। এ সময় পাক এই রেলমন্ত্রী ঘোষণা দেন, তিনি রেলমন্ত্রী থাকলে দুই দেশের মধ্যে কোনো ট্রেন চলবে না।

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। কাশ্মীর নিয়ে নয়াদিল্লির পদক্ষেপের পর থেকেই তার বিরোধিতা করছে পাকিস্তান। তারা ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনমন এবং বাণিজ্যও স্থগিত করেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাশ্মীর ইস্যুকে তুলেছে।

কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ন্যায়বিচার পেতে আন্তর্জাতিক আদালতে যাবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। গতকাল ইমরান খানের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ভারতের বিমান চলাচলের জন্য পাকিস্তানের আকাশপথ আর ব্যবহার করতে দেবে না তারা। এদিকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও ‘প্রয়োজনে’ পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin