কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর নতুন করে সরগরম হয়ে উঠেছে দিল্লি- ইসলামাবাদ কূটনীতি। বার বার ব্যর্থ হলেও, কাশ্মির ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলকে হস্তক্ষেপ করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর এতেই চটেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। এতদিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তেমন কিছু না বললেও শেষ পর্যন্ত তিনি আর চুপ থাকতে পারলেন না।
রাহুল গান্ধি আজ স্পষ্ট করে বলেছেন, কাশ্মির ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে পাকিস্তান বা অন্য কোনও রাষ্ট্রের নাক গলানোর অবকাশ নেই। এক টুইট বার্তায় রাহুল লিখেছেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই আমি সরকারের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। কিন্তু একটা ব্যাপার স্পষ্ট করে দিই, কাশ্মির ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। পাকিস্তান বা অন্য রাষ্ট্রের এখানে নাক গলানোর কোনও জায়গাই নেই।’এটুকু বলেই থেমে থাকেননি রাহুল। কাশ্মির উপত্যকায় যে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে সেগুলোর জন্য তিনি পাকিস্তানকেই দায়ী করছেন। রাহুল লিখেছেন, ‘জম্মু-কাশ্মিরে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এর কারণ পাকিস্তান সেই হিংসায় উস্কানি ও মদত দিচ্ছে। পাকিস্তান গোটা বিশ্বেই সন্ত্রাসের প্রধান মদতদাতা।’
কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পদ্ধতি নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগাচ্ছে কংগ্রেস। এ নিয়ে দেশটির সংসদের ভিতরে ও বাইরে লড়াইও চলছে নিরন্তর। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর গত শনিবার কাশ্মিরের শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা দেন রাহুল। কিন্তু তাকে বিমানবন্দর থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে দেশে বিদেশে মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। এই পরস্থিতির মধ্যেই সাবেক কংগ্রেস সভাপতির এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষ্করা বলছেন, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার নিয়ে জাতীয়তাবাদের তাস খেলেছে মোদি সরকার। স্বাভাবিক ভাবেই তার ফসলও ঘরে তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু, ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পদ্ধতিটা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে কংগ্রেস। এ নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান কী, তা স্পষ্ট করে দিতেই রাহুল পাকিস্তানকে আক্রমণ করে টুইট করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।