দেশবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশের অর্জনকে ম্লান ও দুর্বল করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, এজন্য কৃষিবিদদের পেশাজীবী, কৃষিবিদ ও বুদ্ধিজীবী হিসেবে সচেতন থাকতে হবে। যাতে তারা কোনোক্রমেই সেই ষড়যন্ত্র সফল করতে না পারে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে সংবর্ধনা সভা ও ইফতার মাহফিলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পাঁচজন অ্যালামনাই এ বছর একুশে পদক পাওয়ায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে এ বছর একুশে পদকপ্রাপ্ত বাকৃবির ইমেরিটাস অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার মণ্ডল, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম বুদ্ধ দাশ, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী এনামুল হক, সাহানাজ সুলতানা এবং জান্নাতুল ফেরদৌসীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
কৃষিমন্ত্রী ও বাকৃবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পাঁচজন কৃষিবিদ এ বছর রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদক পেয়েছেন, এটি আমাদের সব কৃষিবিদের জন্য অহংকারের, গর্বের। এ পুরস্কার সব কৃষিবিদের প্রেরণা জোগাবে।
মন্ত্রী বলেন, দুই বছর ধরে করোনার অভিঘাতে এবং সাম্প্রতিক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা পৃথিবীতেই অর্থনীতিতে ও খাদ্যদ্রব্যের দামে অস্থিরতা চলছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েনি, রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়নি। বরং সারা পৃথিবীতে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে আছে। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে দেশের গার্মেন্টস শিল্প, রেমিট্যান্স ও কৃষি- এই তিনটি খাত। কৃষির এই সাফল্যকে আরও এগিয়ে নিতে কৃষিবিদদের আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বাকৃবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি হামিদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় বিভিন্ন সংস্থা প্রধান, বিজ্ঞানীসহ পাঁচ শতাধিক বাকৃবি অ্যালামনাই উপস্থিত ছিলেন।