রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন

কাশ্মীরে তিনজন নিহত, সরকারের অস্বীকার

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৯
  • ১৪৬৪ Time View

কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে বলে ভারত সরকার দাবি করলেও পুরো উপত্যকা যে এখনও অবরুদ্ধ সে খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে। মানুষ কিছুটা বিক্ষোভ দেখাতে চাইলেও ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। এএফপি বলছে, গত ৫ আগস্টের পর কাশ্মীরে একাধিক মৃত্যুর কথা জানতে পেরেছে তারা।গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল হুরিয়াত মানুষকে বিক্ষোভে অংশ নেয়ার ডাক দিলেও কড়া নিরাপত্তার কারণে তা সেভাবে হয়নি। বিবিসি জানাচ্ছে, কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিলের পর সেখানকার চার শতাধিক নেতাসহ চার হাজারের বেশ মানুষ এখন আটক রয়েছেন।ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, শতাধিক জঙ্গিকে সীমান্ত টপকে ভারত শাসিত কাশ্মীর উপত্যকায় পাঠানোর চক্রান্ত করেছে পাকিস্তান। কাশ্মীরে দুই দেশের সীমানা নির্ধারণকারী রেখা লাইন অব কন্ট্রোলে তাদের মজুত রাখা হয়েছে। এমন তথ্য পেয়েই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

গত ৪ আগস্ট রাতে কাশ্মীরে কারফিউ জারি হওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কোনো মানুষের প্রাণহানি ঘটেনি বলে দাবি মোদি সরকারের। তবে সরকারি এই দাবির বিপরীত তথ্য দিচ্ছে এএফপি। সংবাদ সংস্থাটি জানাচ্ছে, নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে তারা।শ্রীনগরে নিজের ঘরে ছোট বাচ্চাদের পড়াচ্ছিলেন রফিকের স্ত্রী ফাহমিদা। বাইরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ চলছিল। হঠাৎই জানলার কাচ ভেঙে কাঁদানে গ্যালের শেল ঘরে এসে পড়ে। প্রচণ্ড শব্দ করে ফাটে সেটি।স্বামী রফিক বলছে, ছোট বাচ্চাদের নিরাপদে ঘর থেকে বের করে আনা হয়। তবে ফাহমিদা অসুস্থ হয়ে পড়েন। মোটরসাইকেলে করে হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান তিনি। হাসপাতালের দেয়া মৃত্যু সনদে (ডেথ সার্টিফিকেট) কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ‘বিষাক্ত কাঁদানে গ্যাস ফুসফুসে ঢুকে মারা গেছেন।’

উসাইব আহমেদ নামে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরও নিহত হয়েছে। পুলিশের তাড়া থেকে বাঁচতে প্রাণপণে দৌড়ানোর সময় নদীতে পড়ে মৃত্যু হয় তার। পাঁচ ঘণ্টা পর নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পরিবার। তবে তার মরদেহ দাফন করতে বাধা দিয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী।পুলিশের তাড়ায় নিহত উসাইব আহমেদেরে এক আত্মীয় এএফপিকে জানান, শেষকৃত্যের আগে তার মরদেহ কেড়ে নিতে এসেছিল পুলিশ। তাদের যুক্তি ছিল, শেষকৃত্যে বিক্ষোভ হতে পারে। প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার যে ঘটনা ঘটে তা করে মূলত কাশ্মীরের কিশোররা।নিজের বাড়ির মূল ফটকের সামনে নিরাপত্তা বাহিনীর ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন ৬২ বছর বয়সী মোহম্মদ আয়ুব খান। কাঁদানে গ্যাসকে নিঃশ্বাসের সঙ্গে নেয়ার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে মৃত্যু হয় তার।হাসপাতালে নেয়া হলে জানা যায়, আয়ুব খান আর নেই। তার শেষকৃত্যে মাত্র ১০ জন ছিলেন। পুলিশ গাড়িতে করে তার ওই স্বজনদের কবরস্থানে নিয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও ডেথ সার্টিফিকেট জোগাড় করতে পারেনি আয়ুব খানের পরিবার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, পুলিশের নিষেধ আছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin