ম্যাচটি ছিল অতি গুরুত্বপূর্ণ। বলতে গেলে বাঁচা-মরার লড়াই। অস্তিত্ব টিকে রাখার লড়াই।
বিপিএলের অষ্টম আসরে ছিল না কোনো আইকন ক্রিকেটার। অতীতের মতো আইকন ক্রিকেটারের রেওয়াজ থাকলে এবার তিন আইকন ক্রিকেটারকেই দলে নিয়েছে ঢাকা।
দেশের অন্যতম সেরা তিন ক্রিকেটার এবং তিনজনই অধিনায়ক। একজন সাবেক আর দুইজন জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক। অথচ তিন আইকনকে দলে নিয়েও কাঙ্ক্ষিত ফল পায়নি ঢাকা।
ঢাকায় আছেন জাতীয় দলের সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, জাতীয় দলের বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অথচ দেশসেরা এই তিন আইকন ক্রিকেটারকে দলে নিয়েও প্লে অফে ওঠার দুশ্চিন্তায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
শুক্রবার বরিশালের বিপক্ষে ঢাকার ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। হারলে বিদায় আর জিতলে সরাসরি প্লে অফে। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচেও প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি জাতীয় দলের ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ, জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান জহুরুল ইসলাম অমি, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া তারকা ওপেনার শামসুর রহমান শুভ ও জাতীয় দলের আরেক অনিয়মিত অলরাউন্ডার শুভাগত হোমরা।
এদিন মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। ৭ রানেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার নাঈম শেখ, দলীয় ২৯ রানে ফেরেন জহুরুল ইসলাম অমি, ৪৬ রানে ফেরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলীয় ৬৮ রানে ফেরেন শামসুর রহমান শুভ।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ইনিংসের শুরু থেকেই বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলে যান তামিম। ১৬.৫ ওভারে দলীয় ১০৯ রানে ফেরেন তামিম। তার আগে ৫০ বল মোকাবেলা করে ৯টি চার ও এক ছক্কায় ৬৬ রান করেন দেশসেরা এই ওপেনার।
তামিম আউট হওয়ার পর শুভাগত হোম উইকেটের একপাশ আগলে রেখে টুকটাক খেলার চেষ্টা করলেও অন্যপ্রান্তে যাওয়া-আসার মিছিলে অংশ নেন আজমতউল্লাহ, কায়েস আহমেদ, শফিউল ইসলাম ও রুবেল হোসেনরা।
২৭ বল খেলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন শুভাগত হোম। ৯ উইকেট হারিয়ে ঢাকার সংগ্রহ ১২৮ রান।