শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন

ক্ষমা চেয়ে কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন মোদি

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১
  • ৩০৫ Time View

দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে কৃষি আইন প্রত্যাহারের এ ঘোষণা দেন নরেন্দ্র মোদি।

জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি বলতে চাই যে হয়ত আমাদের তপস্যাতেই খামতি ছিল। তাই কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এই মাসে শুরু হতে চলা সংসদ অধিবেশনে এই কৃষি আইন প্রত্যাহার করব। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আন্দোলন ছেড়ে একটি নয়া সূচনা করি। শীঘ্রই আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া পূর্ণ করে দেব। এবার আপনারা সকলে ক্ষেতে ফিরে যান, পরিবারের মধ্যে ফিরে যান।’
পাঞ্জাব নির্বাচনের আগে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে জোট গড়ার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ বড় হতে চলেছে বলে মত দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জন ছোট কৃষক। তাদের জমির পরিমাণ ২ হেক্টরের কম। তাদের জীবনের আধার এই ছোট জমি। প্রায় ১০ কোটি এমন ছোট কৃষক আছে। এই ছোট জমিতেই তারা নিজেদের পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য কাজ করছে। তাই বীজ, বীমা, বাজার আর সেভিংসের ক্ষেত্রে কাজ করেছি। আমরা ফসল বীমা যোজনাকে আরও কার্যকরী করেছি। আরও বেশি সংখ্য কৃষককে এর অধীনে নিয়ে এসেছি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কিষাণ সয়েল হেলথ কার্ড দিয়েছি। এতে ফলন বেড়েছে। ছোট কৃষকদের ১ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। কৃষকদের কষ্ট যাতে সঠিক দাম পায়, সেই কাজ করেছে সরকার। গ্রামীণ বাজারকে শক্তিশালী করেছি। আমরা এমএসপি বাড়িয়েছি। পাশাপাশি সরকার রেকর্ড পরিবার ফসল কিনেছে।’

মোদি আরও বলেন, ‘দেশের ছোট কৃষকদের কথা ভেবেই তিনটি কৃষি বিল আনা হয়েছিল। দেশের কৃষক সংগঠন, কৃষি অর্থনীতিবিদদের এই দাবি বহুদিনের। এর আগের সরকারও এই নিয়ে ভেবেছে। এরপরই সংসদে কৃষি বিল নিয়ে আলোচা করে বিল পাশ করানো হয়। কয়েক কোটি কৃষক এই বিলকে সমর্থন জানিয়েছে। ভালো মনে এই আইন আনা হয়েছিল। কৃষকদের স্বার্থে আনা এই বিল আমরা কয়েকজনকে বোঝাতে পারিনি। কয়েকজন কৃষকই এর বিরোধিতা করছেন। তাও এটা আমাদের জন্য বড় বিষয়। তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি আমরা। আমরা তাদের কথাও বোঝার চেষ্টা করেছি। সরকার আইন বদলাতেও রাজি ছিল। এরই মাঝে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে চলে গিয়েছে।’

এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনটি কৃষি বিলে সংশোধন করে আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্তানে তুমুল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষত পাঞ্জাবে সেই বিক্ষোভের আগুন তীব্র হতে থাকে। রাস্তা অবরোধ, রেল রোকো-আন্দোলনের মাধ্যমে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিবাদ জানায় কৃষক সংগঠনগুলো।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin