দেখে মনে হয়, সন্ধ্যা নেমেছে! কিন্তু ঘড়ির দিকে তাকালে বোঝা যায়- রাত নয়, এ তো দিন! ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে এমন অবস্থা দেখা গেছে শুক্রবার।
নিষেধাজ্ঞা ছিল ভারতের সরকারের তরফ থেকে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। নিজেদের অসচেতনতার মাশুল গুনতে হচ্ছে দিল্লিবাসীকেই। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা লাফিয়ে বেড়ে যায়। শুক্রবার সকালে পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হয়ে উঠে।
সরকারের দেয়া নিষেধাজ্ঞাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দীপাবলির রাতে বাজি ফাটানো হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের বুলেটিন জানায়, বায়ুদূষণ সূচকে দিল্লির স্কোর ৩৮২ (অত্যন্ত খারাপ)।
স্বাভাবিকভাবে শীতকালে দিল্লির বাতাসের মান খারাপের দিকে যায়। খড় পোড়ানো এবং কুয়াশার কারণে বাতাসের মান খারাপ হতে থাকে। সেইসঙ্গে বাতাসে সূক্ষ্ম ধূলিকণার (পিএম ২ দশমিক ৫) ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়, যা সুরক্ষিত পর্যায়ের থেকে ৩৩ গুণ বেশি।
ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বায়ুদূষণের সূচক পৌঁছে যায় ৪০৪-এ। রাত ১২টায় গড় বায়ুদূষণের সূচক ছিল ৪২২। ক্রমশ তা খারাপ হতে থাকে।
রাত দুটোয় হয় ৪২৮, শুক্রবার সকাল ৬টায় হয় ৪৪৪, সকাল ৭টায় দাঁড়ায় ৪৪৬। সকালে বায়ুদূষণের সূচক ৪৫১-তেও পৌঁছে যায়। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।