এল ক্লাসিকোতে হাসি ফুটল রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের মুখে। হতাশ হলেন বার্সা সমর্থকরা।
শনিবার রাতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে গোলশূন্য ছিলেন বার্সেলোনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
রিয়ালের বিপক্ষে টানা সাত ম্যাচে গোলশূন্য তিনি। জিদানের দলের বিপক্ষে মেসির এমন ছন্দহীন ফর্ম যে দলের পরাজয়ের জন্য যথেষ্ট তা সবারই জানা।
আলফ্রেড ডি স্টেফানো স্টেডিয়ামে ঠিক তাই ঘটল। জিদানের রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে গেল কোম্যানের বার্সেলোনা।
চলতি লা লিগার প্রথম লেগে বার্সার বিপক্ষে ৩-১ গোলের সহজ জয় পেয়েছিল রিয়াল। ফিরতি লেগেও জয় পেল।
সবমিলিয়ে বার্সার বিপক্ষে রিয়ালের এটি টানা তৃতীয় জয়।
আর শনিবারের জয়ের পর অ্যাথলেটিকো আর বার্সেলোনাকে পেছনে ফেলে এখন পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচে রিয়ালের এ জয়ের গোল দুটি করেছেন করিম বেনজেমা ও টনি ক্রুস। এক গোল শোধ করেছেন বার্সা ডিফেন্ডার অস্কার মিনগুয়েজা।
বার্সা সমর্থকদের বলার মতো কথা একটিই যে, ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে ৭০ ভাগ এগিয়ে ছিল বার্সা।
কিন্তু রিয়ালের রক্ষণে গিয়ে লক্ষ্য বরাবর শট নিতে ব্যথ্য হয়েছেন মেসি-গ্রিজম্যানরা। পুরো ম্যাচে ১৮টি শট নেয় বার্সা। যার মাত্র ৪টি ছিল লক্ষ্য বরবার। এদের মধ্যে ১টি জালে জড়ায়।
অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদের নেয়া ১৪টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৩টি এবং গোল হয়েছে দুইটি।
ম্যাচের প্রথমার্ধে মাত্র ১৩ মিনিটের সময় এগিয়ে যায় রিয়াল। ডান দিক থেকে লুকাস ভাস্কুয়েজের ক্রসে অসাধারণ সাইড-ফুট ফ্লিকে বার্সা রক্ষণের পাশাপাশি গোলরক্ষক টের স্টেগানকেও বোকা বানান বেনজেমা। চলতি লিগে এটি তার ১৯তম গোল।
২৮তম মিনিটে লিড বাড়িয়ে নেন টনি ক্রুস। ফ্রি-কিক থেকে গোলটি করেন তিনি।
২ গোল হজম করে বিরতিতে যায় কাতালানরা।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ৬০ মিনিটের সময় জর্দি আলবার ক্রস থেকে স্কোরশিটে নাম তোলেন মিনগুয়েজা।
ব্যবধান কমে ২-১ এ নেমে আসে।
এই সময়টা মেসিকে বড্ড বেশি প্রয়োজন ছিল তার দলের। কিন্তু ভক্ত-অনুরাগীদের হতাশ করে অনেকটা নিষ্প্রভই ছিলেন মেসি।
প্রথমার্ধে একটি দর্শণীয় কর্নার ছাড়া ম্যাচে উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স দেখা যায়নি তার পায়ে।
দেখা যায়নি মেসির সেই চিরচেনা ছন্দ বা একক নৈপুণ্য।
ফলে এর মাশুলও দিতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। দ্বিতীয় গোল আর শোধ করতেই পারেনি বার্সা।
রেফারির শেষ বাঁশিতে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরেই এল ক্লাসিকোতে হার নিয়ে ফিরতে হলো বার্সাকে।
জিদানের কাছে হেরে গেলেন কোম্যান।