আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে রাজধানীতে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে ফরিদাবাদ মাদরাসায় হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১১ টার দিকে গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতাল থেকে ঢাকার জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদে আল্লামা শফীর মরদেহ নেয়া হয়।
সেখানে শেষবারের মতো আল্লামা আহমদ শফীকে দেখতে মাদরাসা মাঠে ভিড় জমায় হাজারো মানুষ। অশ্রু সিক্ত নয়নে বিদায় জানায় তার ছাত্র, শিষ্য, মুরিদ, ভক্ত ও অনুসারীরা। আলেমরা বলছেন, আল্লামা শফীর শূন্যতা পূরণ হবার নয়। তার মৃত্যুতে একটি শতাব্দীর মৃত্যু হয়েছে।
হেফাজত আমিরের মরদেহ নিয়ে জামিয়া ফরিদাবাদ থেকে শুক্রবার রাতেই হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া হবে। শনিবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় আল্লামা শফীর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আল্লামা শফী পাঁচ সন্তানের জনক। দুই ছেলে তিন মেয়ে।
বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ, ছোট ছেলে মাওলানা আনাস মাদানি। আল্লামা শফী আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক পদে যোগ দেন আহমদ শফী। এরপর থেকে টানা ৩৪ বছর ধরে তিনি ওই পদে ছিলেন।