নারায়ণগঞ্জে মসজিদে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ পাঁচজন এখনো শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছেন। তাদের অবস্থার উন্নতি হলেও শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল সাংবাদিকদের এ কথা জানান। পার্থ শংকর বলেন, চিকিৎসাধীন পাঁচজন আইসিইউতে আছেন। তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন।
কয়েকজনের বার্নের পরিমাণ কিছুটা কম। তাদের অবস্থাও আগের চাইতে কিছুটা উন্নত। কিন্তু শ্বাসনালি দগ্ধ হওয়ায় তাদের শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। তিনি বলেন, তাদের চিকিৎসার কোনো ঘাটতি হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী সব সময় দগ্ধদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। গতকাল (শুক্রবার) রাতেও তিনি ফোনে খবর নিয়েছেন। বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন- ময়মনসিংহের ত্রিশালের আবদুর রহমানের ছেলে ফরিদ (৫৫), পটুয়াখালীর চুন্নু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ কেনান (২৪),
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নিউখানপুর ব্যাংক কলোনির আনোয়ার হোসেনের ছেলে রিফাত (১৮), শরীয়তপুরের নড়িয়া কেদারপুর গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে আবদুল আজিজ (৪০) এবং নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসিরহাট গ্রামের আবদুল আহাদের ছেলে আমজাদ (৩৭)। গত ৪ সেপ্টেম্বর এশার নামাজের সময় নারায়ণগঞ্জের তল্লায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ৪০ জনের বেশি মুসল্লি দগ্ধ হন।
দগ্ধদের মধ্যে ৩৭ জনকে গুরুতর অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩১ জন মারা গেছেন। একজন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। হতাহতের এ ঘটনায় গত সোমবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ফতুল্লা অফিসের আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।