শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:০৯ অপরাহ্ন

করোনা সংকট মোকাবিলায় সু-সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা দরকার: অর্থমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২১৫ Time View

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনা সংকট মোকাবিলায় একটি সু-সমন্বিত বৈশ্বিক কার্যক্রম গ্রহণ করা দরকার। এক্ষেত্রে জাতিসংঘ একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এই কঠিন যাত্রায় জি-৭, জি-২০, ওইসিডি এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

জাতিসংঘ আয়োজিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থমন্ত্রীদের এক যৌথ ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ওই সভায় অংশ নিয়েছেন, কানাডার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব আমিনা জে মোহাম্মদ এবং জামাইকার অর্থ ও পাবলিক সার্ভিস মন্ত্রী নাইজেল ক্লার্ক প্রমুখ।

বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ওই সভার সামগ্রিক উদ্দেশ্য ছিল কোভিড-১৯ সংকটের ভয়াবহ পরিণতি থেকে মুক্তি পেতে নীতিগত বিকল্পগুলোর একটি কার্যকরী তালিকা নিয়ে আলোচনা করা এবং দীর্ঘমেয়াদে একটি স্থিতিশীল ও টেকসই বৈশ্বিক আর্থিক আর্কিটেকচার তৈরি করা।

২০২০ সালের ২৮ মে জাতিসংঘের মহাসচিব এবং কানাডা ও জামাইকার প্রধানমন্ত্রীর সাথে ‘ফাইন্যান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট ইন দ্য ইরা অব কোভিড-১৯ অ্যান্ড বিইয়ন্ড’ শুরু করেন।

যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ও রেমিট্যান্স, কর্মসংস্থান এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, টেকসই পুনরুদ্ধার, বৈশ্বিক আর্থিক তারল্য এবং স্থিতিশীলতা, ঋণ ঝুঁকি, বেসরকারি খাতের ঋণ দাতাদের অন্তর্ভূক্তি এবং অবৈধ আর্থিক প্রবাহের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন অঞ্চলে ৬টি আলোচনা গ্রুপ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।

সেই সময় থেকে বিভিন্ন গ্রুপ সদস্য দেশ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রয়োজন বিবেচনা করে বিকল্পগুলোর একক উচ্চাকাঙ্ক্ষী তালিকা তৈরির কাজ করছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা গ্রুপ-১ এ সহ-নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করে মিশর, জাপান এবং স্পেনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সাথে বৈদেশিক অর্থ ও রেমিট্যান্স, চাকরি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশের বিষয়ে আলোচনা করেন।

তিনি উন্নয়নশীল এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের অগ্রাধিকারগুলোর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য এই গ্রুপটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিনিয়োগ, এলডিসি এবং উত্তরনরত দেশগুলোর জন্য সরকারি উন্নয়ন সহায়তা, এসডিজির অর্থায়নসহ বাস্তব ক্রিয়া এবং নীতিমালার সুপারিশ করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এটাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করি যে, উন্নত অর্থনীতির দেশগুলো শুন্য দশমিক ৭ শতাংশ ওডিএ প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। যা এখন কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধারের সাথে সহায়তা করছে।

বৈঠকে জাতিসংঘের ৬০ এর বেশি সদস্য দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থা এবং বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। সভায় মন্ত্রীদের আলোচনাগুলো ২৯ শে সেপ্টেম্বর ৭৫তম ইউএনজিএ এর উচ্চ-স্তরের ভার্চুয়াল বৈঠকে সরকার প্রধানদের কাছে জমা দেয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin