শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন

যে কারণে ইসলামে কোন মহিলা নবী নেই

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৪৫৯ Time View

ইসলাম ধর্মে এই একটি জিনিসই ব্যদিক্রম যে, এই ধর্মে কোন মহিলা নবীর আগমন ঘটেনি। কিন্তু মহান আল্লাহ তা’য়ালা ঠিক কি কারণে কোন মহিলাকে নবী হিসেবে প্রেরণ করেন নি? পিসটিভি বাংলায় একজন মহিলা এই প্রশ্নটি সরাসরি ডাক্তার জাকির নায়েকের কাছে করেন।

উত্তরে ডাক্তার জাকির নায়েক বলেন, যদি নবী বলতে আপনি বোঝেন, এমন এক ব্যক্তি যিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে বাণী গ্রহণ করেন এবং যিনি মানবজাতির নেতা হিসেবে কাজ করেন; তাহলে সেই অর্থে নিশ্চিত করে বলতে পারি,

ইসলামে কোনো নারী নবী আসেনি এবং এটাই সঠিক। কারণ একজন নারীকে যদি নবী হতে হয় তাহলে তাকে সমগ্র মানুষের নেতৃত্ব দিতে হবে। কিন্তু কুরআনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে পুরুষরা হলো পরিবারের প্রধান। সুতরাং পুরুষ যদি পরিবারের প্রধান হয়ে থাকে তবে কিভাবে নারী সমগ্র মানুষের নেতৃত্ব দেবে? এছাড়াও একজন নবীকে নামাজের ইমামতি করতে হয়। আর আপনারা জানেন,

নামাজে বেশ কিছু অঙ্গভঙ্গি রয়েছে যেমন- কিয়াম, রুকু, সাজদাহ ইত্যাদি। যদি একজন নারী নবী নামাজের নেতৃত্ব দিত তবে জামাআতের পেছনে যে সকল পুরুষ সলাত আদায় করত এটা তাদের এবং ইমাম উভয়ের জন্যই বেশ বিব্রতকর হত।

এখানে আরো অনেক ব্যাপার রয়েছে। যেমন- একজন নবীকে সাধারণ মানুষের সাথে সর্বদা দেখা সাক্ষাৎ করতে হয়। কিন্তু এটা একজন মহিলা নবীর পক্ষে অসম্ভব। কারণ ইসলাম নারী-পুরুষ পরস্পরের মেলামেশার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে। যদি মহিলা নবী হতো এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সে যদি গর্ভবতী হতো, তবে তার পক্ষে কয়েক মাস নবুওয়াতের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হতো না।

অপরদিকে একজন পুরুষের পক্ষে পিতৃত্ব এবং নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করা একজন মহিলার মাতৃত্ব এবং নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করা থেকে তুলনামূলক সহজ। কিন্তু আপনি যদি নবী বলতে শুধু বোঝেন, এমন একজন ব্যক্তি যিনি আল্লাহ পছন্দের এবং যিনি পবিত্র ও খাঁটি ব্যক্তি, তবে সেখানে কিছু নারীর উদাহরণ রয়েছে- আমি এখানে উত্তম উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করব মারইয়াম আ. এর নাম। তিনি ছিলেন মনোনীত এবং পরিশুদ্ধ। তিনি ছিলেন ঈসা আ. এর মা।

সুরাহ আল ইমরানের ৪২ নং আয়াতে উল্লেখ আছে- ‘যখন ফেরেশতারা বলেছিল, হে মারইয়াম! আল্লাহ আপনাকে মনোনীত করেছেন, পবিত্র করেছেন এবং নির্বাচিত করেছেন বিশ্বজগতের নারীদের ওপর।’ এছাড়াও সুরাহ তাহরিম-এ ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়ার কথা উদাহরণ হিসেবে নিতে পারেন- ‘আল্লাহ বিশ্বাসীদের জন্য ফেরাউনের স্ত্রীর (আছিয়া) অবস্থা বর্ণনা করেছেন।’

ফিরাউনের স্ত্রী আল্লাহর কাছে দু’আ করেছিলেন- ‘হে আমার রব! আমার জন্য বেহেশতের মধ্যে আপনার সন্নিকটে ঘর নির্মাণ করে দিন, আর আমাকে ফেরাউন থেকে এবং তার (কুফুরি) আচরণ থেকে রক্ষা করুন, আর আমাকে সমস্ত অত্যাচারী লোকজন থেকে হিফাজত করুন। আত-তাহরিম, আয়াত ১১

একটু কল্পনা করুন, তিনি ছিলেন তৎকালীন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী সম্রাট ফারাও-এর স্ত্রী। অথচ তিনি আল্লাহর ভালবাসার জন্য নিজের আরাম-আয়েশ ও বিলাসিতা ত্যাগ করতে চেয়েছেন। সুতরাং আপনি যদি বুঝাতে চান আল্লাহর পছন্দের, পবিত্র ও খাঁটি তাহলে আপনি তাদের উদাহরণ হিসেবে নিতে পারেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin