শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন

৭টি কারনে সূরা ইয়াসিনকে আল কোরআনের ‘হৃদপিণ্ড’ বলা হয়

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৪৪৩ Time View

সূরা ইয়াসিনকে – আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্ম’দ (সা.) বলেছেন, ‘সূরা ইয়াসিন হলো আল কোরআনের হৃৎপিণ্ড।’ এ হাদিসে আরো বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন আল্লাহ ও পরকালের কল্যাণ লাভের জন্য পাঠ করবে তার মাগফিরাত হয়ে যায়। তোমরা তোমাদের মৃ’তদের জন্য এ সূরা তিলাওয়াত করো। (রুহুলমায়ানি, মাজহারি) ইমাম গাজ্জালি

রহ: বলেন, ‘সূরা ইয়াসিনকে কুরআনের হৃৎপিণ্ড এ কারণে বলা হয়েছে যে, ১। ‘এ সূরায় কেয়ামত ও হাশর-নশর বি’ষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা ও অলঙ্কারসহকারে বর্ণিত হয়েছে। v২। পরকালে বিশ্বাস ঈমানের এমন একটি মূ’লনীতি, যার ও’পর মানুষের সব আমল ও আচরণের বিশুদ্ধতা নির্ভরশীল। পরকালভীতিই মানুষকে সৎকর্মে উদ্বুদ্ধ করে এবং অ’বৈধ বাসনা

ও হারাম কাজ থেকে বিরত রাখে। তাই দে’হের সুস্থতা যেমন অন্তরের সুস্থতার ও’পর নির্ভরশীল তেমনি ঈমানের সুস্থতা পরকালের চিন্তার ও’পর নির্ভরশীল (রুহুলমায়ানি)। ৩। এ সূরা তার পাঠকারীকে ইহকাল ও পরকালে শান্তি ও ব্যাপক কল্যাণ এনে দেয় অন্য এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, এ সূরা কেয়ামতের দিন অধিক সংখ্যক মানুষের জন্য সুপারিশকারী হবে

এবং তা আল্লাহ অবশ্যই কবুল করবেন। ৪। এ সূরা তার পাঠকদের থেকে বালা-মুসিবত দূর করে। অন্য রেওয়ায়েতে এর নাম ‘কাজিয়া’ও উল্লিখিত হয়েছে; অর্থাৎ এ সূরা পাঠকের সব ধরনের প্রয়োজন মেটায়। (রূহুলমায়ানি) ৫। হজরত আবু যর রা: বলেন, আমি রাসূল সা:-এর কাছ থেকে শুনেছি তিনি বলেছেন, মরণোন্মুখ ব্যক্তির কাছে সূরা ইয়াসিন পাঠ

করলে তার মৃ’ত্যু য’ন্ত্রণা সহজ হয়ে যায়। (মাজহারি) ৬। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের রা: বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন অভাব-অনটনের সময় পাঠ করে তাহলে তার অভাব দূর হয়, সংসারে শান্তি ও রিজিকে বরকত লাভ হয়। (মাজহারি) ৭। ইয়াহইয়া ইবনে কাসীর বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সু’খে-স্বস্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে। (মাজহারি) ত’থ্যসুত্র: এমটি নিউজ

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin