ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’র বিপরীতের পার্ক বা খোলা উদ্যানটিতে গেলে মনে হবে, স’রকার এই স্পটটি তৈরি করেছেন ডেটিংয়ের জন্য। মাঝে মাঝে এমন আপত্তিজনক অবস্থায় তাদের দেখা যায়, বাসার বেড রুমকেও হার মানায়।একদিন বৃষ্টির দিনে সেখানে যাওয়ার অ’ভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। একটা করে বেঞ্চ, একটা করে ছাতা আর দুটো করে মানুষ।
টাইটানিক ছবি’র লিও-ক্যাট ওখানে নিশ্চিত ফেলএই অবস্থা রমনা, চন্দ্রিমা উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলদা গার্ডেনসহ ঢাকার প্রায় সব পার্কের।
এসব স্থানের জোড়ায় জোড়ায় কপোত-কপোতিদের একান্ত বৈঠক দেখলে মনে হয়, স’রকার ঐ এলাকাকে বোধহয় প্রাকৃতিক চিড়িয়াখানা ঘোষণা করে স্বা’মী-স্ত্রীদের (!) ছেড়ে দিয়েছেন। যারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমা (ডেটিং কর) !!!
আইসিডিডিআরবি পরিচালিত এক গবে’ষণা জরিপ থেকে জানা গেছে, ‘বাংলাদেশের শহুরে তরুন-তরুনীদের ১৮ বছর ব’য়স হওয়ার আগেই যৌ’ন অ’ভিজ্ঞতা হচ্ছে। প্রায় ৮০ শতাংশ তরুন-তরূনী
পরোক্ষভাবে প্ররোচিত হয়ে যৌ’নকর্মে লি’প্ত হচ্ছেন। এদের এক তৃতীয়াংশ আবার লি’প্ত হচ্ছেন দলগত যৌ’নকর্মে।’ মোবাইল, কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের অ’বৈধ ব্যবহারের কারণে আমাদের যুব সমাজ খুব দ্রু’ত চরিত্রহীন হয়ে পড়ছে। যুবক-যুবতীদের হাতের
হ্যান্ডসেট পরিণত হয়েছে প’র্নোগ্রাফির ভান্ডারে। কয়েকমাস আগে ঢাবি পরিচালিত স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে প’র্নোগ্রাফি উ’দ্ধার করা হয়েছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক মিনি প’তিতা গড়ে ওঠার কথা সচেতন মহলের অজানা নয়।
এই মডার্ণ যুগে ছেলেমে’য়েদের খোলামেলা মেলামেশা থেকে বিরত রাখতে সকল ধরনের উপদেশই বিফলে যাবে নিঃস’ন্দে’হে। এক্ষেত্রে মে’য়েদের একটি বুদ্ধি দেয়া যায়, রিলেশনে জড়াবেন ভাল কথা। মেলামেশা করবেন তাও নিজেদের ই’চ্ছা।
কিন্তু একটু খোলামেলা মেলামেশার আগে অন্তত একটা দিন ভাবুন ‘যার সাথে আপনার সম্প’র্ক, সে কি এখনো আপনার কথা পরিবারের কাছে উপন্থাপন করেছে। যদি না করে, তাকে এক সপ্তাহ সময় দিন।
যদি এই সময়ের মধ্যে না করে, তাহলে তার সাথে আলাপ করুন। জানতে চেষ্টা করুন স’মস্যা কি? যদিও এখানে কোনো সদুত্তর না পান, তাহলে….’ আর পরামর্শ নেই। বাকীটা আপনার সি’দ্ধান্ত। শুধু এ কথা মনে রাখু’ন… ‘কোনো ক্লিপই আপনা থেকে অন্য ফোনে বা ইউটিউবে যায় না!
ছেলেদের বলছি ‘আপনার সাথের মানুষটি কি আপনাকে সব সময় পরিবারের সাথে সংশ্লিষ্ট বা ভবি’ষ্যত সংশ্লিষ্ট পরামর্শ দিচ্ছে? নাকি রেষ্টুরেন্ট ডেটিং এবং ঘুরাফেরাতেই ব্যস্ত? তাহলে বুঝতে হবে- ‘উসকা আদাতই এ সা’।