চট্টগ্রামে বাসায় গিয়ে তরুণীর উপর হা’মলার দায়ে লেডি গ্যাং লিডার তাহমিনা সিমি (১৮) ওরফে সিমরান সিমিকে দুই সহযোগীসহ গ্রে’ফতার করা হয়েছে। শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন স্থানে অ’ভিযান চালিয়ে তাদের গ্রে’ফতার করে পু’লিশ।
গ্রে’ফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইপিজেড থা’নার ভারপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া। গ্রে’ফতার অপর দু’জন হলেন, নগরীর হালিশহর থা’নার নয়াবাজার এলাকার সিরাজুল ইস’লামের ছেলে মো. শাখাওয়াত (২২), বন্দর থা’নার ইস্ট কলোনী এলাকার আজিবুর রহমানের ছেলে মো. লামিম শাওন (২২)।
ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, মোহনা আক্তার নামে এক না’রীর দা’য়ের করা মা’মলার ভিত্তিতে লেডি গ্যাং লিডার সিমি ও তার তার দুই সহযোগীকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে। এ মা’মলার অন্য আ’সামিদেরও গ্রে’ফতারের চে’ষ্টা চলছে।
পু’লিশ ও মা’মলার এজহারের সূত্রে জানা গেছে, কিশোর গ্যাং কালচারের বি’রোধের জে’র ধ’রে অধরা আহমেদ (২২) নামে এক তরুণীকে ২৪ আগস্ট নগরীর বন্দরটিলা এলাকায় তার বাসায় গিয়ে বে’ধড়ক মা’রধ’র করে পাঁচ কিশোর-কিশোরীর একটি দল।
মা’রধ’র ছাড়াও তারা ওই তরুণীর গা’য়ের পোশাকও ছিঁ’ড়ে ফেলে। ঘ’টনাটি মোবাইলে ভিডিও করে হা’মলাকারীরাই ‘শিক্ষা দিতে’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে।
এদিকে হা’মলার শি’কার অধরা আহমেদ জানান, অনলাইনে পরিচয়ের পর শাখাওয়াত নামের এক তরুণ তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব প্র’ত্যাখ্যা’ন করে ওই কিশোরের বিভিন্ন অ’নৈতিক প্রস্তাবের প্রতিবা’দ করায় তাদের বাসায় গিয়ে হা’মলা চালায়।
শাখাওয়াত ছাড়াও হা’মলায় অংশ নিয়েছে শাখাওয়াতের আরো বন্ধু শাওন, আরেফিন, বা’ন্ধবী সিমরান সিমি (১৮) ও তানিয়া (১৭)। অধরা আহমেদ জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনা বাগেরহাটে। ৬ বছর আগে পিতা মা’রা গেছেন।
এক ভাই ও মাকে নিয়ে নগরীর বন্দরটিলা এলাকার ভাড়া বাসায় থাকেন। পাশেই বড় বোনের বাসা। ঘ’টনার সময় তার ভাই গ্রামের বাড়িতে ছিল। আর মা ছিলেন বাইরে। ওই সময় ঘরে একাই ছিলেন অধরা।
জানা গেছে, এ ঘ’টনার প্রধান অ’ভিযুক্ত শাখাওয়াত ই’সলামের বাসা আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ এলাকার মিয়া বাড়ির জনৈক রফিকের সন্তান। তার সহযোগী কিশোরী তানিয়া পড়েন বন্দরটিলা সিটি করপোরেশন কলেজে। আর গ্রে’ফতার সিমরান সিমির বাসা নগরীর সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায়। তিনিও পড়ালেখা করছেন।