শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন

চুলকাটায় টিকটক অপুর মন খারাপ: আইনজীবী

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০
  • ৩৩৮ Time View

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর মাদ্রাসাছাত্র ইয়াছিন আরাফাত অপু। অভাবের কারণে পড়াশোনা করতে পারেনি বেশী দূর। এরপর চাকরি নেন একটি সেলুনে। সেখান থেকে কয়েকজন বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারে মোবাইলভিত্তিক অ্যাপস টিকটক ও লাইকি সম্পর্কে।

এরপর টিকটক ও লাইকিতে নানা ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে অল্প দিনেই অর্জন করেন জনপ্রিয়তা। গড়ে তোলেন অনুসারীদের বিরাট বাহিনী। এরপরের গল্পটা হয়তো সবারই জানা। অপুকে কারাগারে পাঠানোর সময় তার চুল ছিল বড় ও সবুজ রঙের।

১৫ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তার সেই চুল আর দেখা যায়নি। কারাগারে চুল কেটে ছোট করায় অপুর মন খারাপ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী জাহানারা বেগম। আজ বুধবার জাহানারা বেগম বলেন, ‘অপু মডেলিং করেন,

এটা তার পেশা। কাজের প্রয়োজনে তিনি চুল বড় রেখেছিলেন এবং ভিন্ন রং করিয়েছিলেন। কিন্তু কারাগারে তার চুল কেটে ছোট করা হয়েছে। এতে তার মন খারাপ হয়ে গেছে।’ আইন অনুযায়ী হাজতি কারো চুল কেটে দেওয়া যায় কি না, জানতে চাইলে জাহানারা বেগম বলেন,

কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভালো বলতে পারবে।’ এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার ইকবাল কবীর চৌধুরী আজ দুপুরে বলেন, ‘কারাগারে একজন আসামিকে আনার পর তাকে শৃঙ্খলার মধ্যেই রাখা হয়। একজন আসামি চাইলেই নিজের মতো জীবনযাপন করতে পারেন না।

কারাবিধি অনুযায়ী শৃঙ্খলার জন্য প্রত্যেক আসামির চুল ছোট করার নিয়ম রয়েছে। এ জন্য তার চুল ছোট করা হতে পারে।’ জানা গেছে, গত ২ আগস্ট রাজধানীর উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের আলাওল অ্যাভিনিউতে রাস্তা দখল করে অপু এবং তার কয়েকজন সহযোগী আড্ডা দিচ্ছিলেন।

সে সময় মেহেদী হাসান নামের এক ব্যক্তি বন্ধুদের নিয়ে গাড়িতে চড়ে ওই সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় মেহেদী রাস্তা ছাড়তে হর্ন দেন। কেন হর্ন দেওয়া হলো—এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে তা হাতাহাতি ও মারামারির পর্যায়ে গড়ায়।

পরের দিন গত ৩ আগস্ট দুপুরে মেহেদী হাসানের বাবা এস এম মাহবুব আলম বাদী হয়ে মারামারি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অপুসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০ জনকে আসামি করা হয়।

পরে পুলিশ ওই মামলায় অপু ও সহযোগী নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে। গত ৪ আগস্ট অপু ও নাজমুলকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে তাদের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজ তালুকদার।

তবে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ জালাল জানিয়েছিলেন, গত ১৭ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুন অর

রশিদের আদালতে জামিন আবেদন করা হলে অপুকে জামিন দেওয়া হয়। পরে তার মুক্তিনামা কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর অপু গতকাল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। অপুর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী এলাকায়। তিনি ঢাকার দক্ষিণখানের একটি বাসায় থাকতেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin