ম’হামা’রী ক’রোনা ভাই’রাসের কারনে বর্তমানে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো। সব শেষ বর্ধিত ছুটির মেয়াদ ঠেকেছে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। তবে এরপর ছুটি আরও বাড়বে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে স’রকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। যার মধ্যে অন্যতম একটি হল চলতি শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস সংক্ষি’প্ত করা। এর বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছে শিক্ষাবর্ষের মেয়াদ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত টেনে নেয়া।
যদি ৩১ আগস্টের পর ছুটি আর বর্ধিত করা না হয় তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম চালু হবে বিশ্ববিদ্যালয়। পর্যায়ক্রমে উচমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক খুলে দেয়ার কথা ভাবছে স’রকার।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে ক্লাস শুরু হলেও কিছু শিক্ষার্থী পড়েছেন বিপাকে। প্রয়োজনীয় ডিভাইস যেমন মোবাইল বা কম্পিউটার না থাকার কারনে তারা ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। অন্যদিকে ইন্টারনেটের খরচ বৃ’দ্ধি পাওয়ায় যেন বাড়তি বিড়ম্বনায় পড়েছেন শিখার্থীরা।
স’রকারের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট খরচ মিটিয়ে দিবে স’রকার নিজেই। তবে সেটা কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছুই জানা যায়নি।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা সচল রাখার লক্ষ্যে সং’সদ টিভির মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ফলে সেখান থেকে কিছুটা উপকৃত হবার সম্ভাবনা রয়েছে শিক্ষার্থীদের। এছাড়া নতুন আরও একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে স’রকারের পক্ষ থেকে।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বি’ষয়ভিত্তিক ক্লাস শোনা যাবে বাংলাদেশ বেতারে। এতে করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ বেতারে ক্লাস শুরু করার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বলেও জানা গেছে।
রেডিওতে ক্লাস চালু করার ব্যাপারে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, ‘’রেকর্ডিং শুরু হয়ে গেছে। চলতি সপ্তাহেই একটা দিন নির্ধারন করে সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে।‘’