রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন

ক’রোনায় আক্রান্ত এক বাড়িতেই মিললো ৩১ লা’শ

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০
  • ২৬০ Time View

ক’রো’না ভা’ইরা’স বা কো’ভিড-১৯ ম’হামা’রিতে বিশ্বে এ পর্যন্ত আ’ক্রা’ন্ত হয়েছে ===৩===০ লাখের বেশি মানুষ। মা’রা গেছে দুই লক্ষাধিক। এর মধ্যে কা’নাডায়… সং’ক্রম’ণ ৪৫ হাজার এবং মৃ’ত্যু আড়াই হাজার।

কানাডায় আড়াই হাজার মৃ’ত্যুর মধ্যে কিউবেক প্রদেশেই মৃ’ত্যু হয়েছে ১৪৪৬ জনের। কিউবেকের মন্ট্রিল শহরে মৃ’ত্যুর সংখ্যা বেশি।,,,, মন্ট্রিলে মৃ’ত্যুর সংখ্যা কে এত বেশি তা প্রকাশ করেছেন সেখান নার্সদের সংগঠনের সভাপতি নাতালিয়া।

নাতালিয়া স্টেক ডসেট কানাডার কিউবেক প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর মনট্রিল শহরে বসাবাস করেন। কিউবেক শহরে বয়স্কদের আবাসগুলো কীভাবে করোনার মৃ’ত্যুপু’রীতে পরিণত হয়েছে তা বর্ণনা করেছে নাতালিয়া।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নাতালিয়া জানিয়েছেন, ক’রো’না ভা’ইরা’স বা কো’ভিড-১৯ মোকা’বিলায় রোগীদের সেবা দিতে তিনি কিউবেক প্রদেশের মনট্রিলে দায়িত্ব পালন করেন। কানাডায় করো’না ভা’ইরা’সে প্রথম মৃ’ত্যুর ঘটনা

ঘটে লিয়ান ভ্যালি কেয়ার হোমে। যেটি শহরে নর্থ ভ্যা’ঙ্কুভারে অবস্থিত। এটি অন্টারিও শহরের একটি ছোট্ট এলাকা। নাতালিয়া মনট্রিলে যেখানে থাকেন সেখানে ১৮০টি পরিবা’রের একটি বৃদ্ধাশ্রম গ্রাম রয়েছে। সেই গ্রামের ‘আ’বহাওয়া না গরম, না ঠান্ডা।

নাতালিয়া বলেন, আপনি যদি সেখানে যে কাউকে জিজ্ঞেস করেন তাহলে সে বলতে পারবে যে, সেখানে কী ঘটতে যাচ্ছে তা সে জানে। আমরা কোনো বিশেষজ্ঞ পাইনি। কোনো হাসপাতাল প্রস্তু’ত করা হয়নি। কো’নো উপকরণ দেয়া হয়নি। আমরা কিছুই পায়নি।

আগে যেমন ছিলাম তেম’নই রাখা হয়েছিল আমাদের। ফলে যখন ক’রো’না ভা’ইরা’স আঘা’ত করলো তখন এটি দ্রুত দাবান’লের মতো ছড়ি’য়ে পড়লো। কিউবেক প্রদেশে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২১ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃ’ত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৪৩ জনের।

যারা মা’রা গেছে তাদের প্রায় সবারই বয়স ৬০ বছরের উপরে। কিউবেক শহরের এই ঘটনার ফলে সেখানে প’দ্ধতি’গত সমস্যা, স্বাস্থ্য খাতে দৈন্যদশা, যথেষ্ট অ’র্থের অ’ভাব ও স্বাস্থ্য’ক’র্মী স’ঙ্ক’টের চিত্র ফুটে উঠেছে।

এই শহরে মু’ত’দের মধ্যে ৬৩ শতাংশ মানুষ হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা। তারা নিজেদের ঘরেই মা’রা গেছে। এই বৃদ্ধা’শ্রমগু’লো কোনো হোটেল বা হোস্টেল নয়। এটি এক একটি সাধারণ বাড়ি। কিন্তু সেখানে শুধু বৃদ্ধরা থাকেন।

এখানে হাসপাতালে মা’রা গেছে মাত্র ১৬ শতাংশ মানুষ নাতালিয়া জা’নিয়েছেন, বৃদ্ধাশ্র’মগু’লো ক’রো’না ভা’ই’রাস ছড়িয়ে পড়ার পর ভা’ইরা’সটি দ্রুত অন্য’দের সং’ক্র’মিত করতে শুরু করে। দ্রুত মৃ’ত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। নাতালিয়া জানান,

মানুষ নিজের ঘরেই মৃ’ত্যু বরণ করতে থাকে। শহরে পরিশ্চম এলাকার একটি বৃদ্ধাশ্র’মে তারা গিয়ে দেখতে পান সেখানে ৩১ জন মা’রা গেছেন। ঘটনাটি ছিল গত মাসের ১৩ তারিখের। নাতালিয়া বলেন, আমরা তাদের জন্য কিছু করতে পারিনি। এজন্য আমাদের ল’জ্জিত হওয়া উচিত।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin