ক’রোনাভাইরাসে আ’ক্রান্ত হওয়ার পর বাড়িতেই কে’টেছে তার আইসোলেশন পর্ব। বর্তমানে সুস্থ হয়েছেন তিনি। আগামী সপ্তাহে ক’রোনা রেজাল্ট পাওয়ার পর ঢাকায় ফিরবেন বলে জানান এই চিত্রনায়িকা। ১৯৯৫ সালে লাক্স আনন্দ বিচিত্রা ফটোসুন্দরী হিসেবে মিডিয়ায় তার অভিষেক ঘ’টে।
এরপর নিজেকে তিনি চলচ্চিত্রে বিকশিত করে গেছেন। জয় করে নিয়েছেন কোটি দর্শকের মন। ১৯৯৭ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ ছবির জন্য প্রথম সিনেমার শুটিং করেন পপি। কিন্তু তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘কুলি’।
এরপর ১৯৯৮ সালে রিয়াজের বিপরীতে ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’, ১৯৯৯ সালে মান্নার বিপরীতে ‘কে আমার বাবা’ ও ‘লাল বাদশা’, ২০০২ সালে কমল সরকার পরিচালিত ‘ক্ষেপা বাসু’ ও বাবুল রেজা পরিচালিত ‘ওদের ধর’ ছায়াছবিগুলো ব্যবসা সফল হয়।
২০০৩ সালে কালাম কায়সার পরিচালিত ‘কারাগার’ ছায়াছবিতে অভিনয় করে প্রথমবারের মতো শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর আরও তিনবার এই রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন পপি।
এদিকে ঘ’টনা ২০১৫ সালের। সে বছর থার্টি ফাস্ট নাইটের একটি পার্টিতে তারকা জুটি ওমর সানি-মৌসুমীসহ অনেকের সঙ্গে জায়েদ-পপিও উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে তাদের ঘনিষ্ঠতা শুরু। এরপরে কোনো একটি ক’বরস্থানে গিয়ে ক’বর জিয়ারত করছেন জায়েদ খান এবং তার পিছনেই দাঁড়িয়ে আছেন পপি।
ব্যাস এতেই ছ’ড়িয়ে পড়লো তাদের বিয়ের খবর। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ছ’ড়িয়ে পড়েছে জায়েদ খান এবং পপির বিয়ের খবর। সেসব ভিডিওতে বলা হয়, দুই বছর প্রেম করার পরে ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জায়েদ-পপি বিয়ে করেন।
সেই বিয়েতে তাদের সকল ঘনিষ্ঠরাই সহযোগিতা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, সবাই বিষয়টি গোপনও রাখেন। এছাড়া পপি এবং জায়েদ খান বিয়ের পরে ৮/১ নিউ ইস্কাটন রোডে একসঙ্গে থাকতেও শুরু করেন।
বিয়ের এক বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে তারা যে কেকটি কেটে বিবাহবার্ষিকী পালন করেন, তার ছবিও ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পপির সহযোগিতার কারণেই নাকি জায়েদ টানা দু’বার শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদে বসতে পেরেছেন।
তবে পপি বলছেন ভিন্ন কথা। সম্প্রতি দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পপি বলেন, বিয়েটা কে দিল? জায়েদ খানের সঙ্গেই বা কেন! আমি জোর গলায় বলছি, এসব ফালতু, অবাস্তব, অ’কল্পনীয় কথা। আমি এখনো অ’বিবাহিত।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জায়েদ খানকে সমর্থন করার প্রসঙ্গে পপি বলেন, ফিল্মে আমার মামা-খালু ছিল না। নিজের যোগ্যতা এবং রাজ্জাক, শাবানা, ববিতা, ফারুক, আলমগীর, হুমায়ুন ফরীদিদের মতো কিংবদন্তিদের সহযোগিতায় ও বিভিন্ন পরামর্শ মেনে কাজ করে এতদূর এসেছি।
এ জন্য আমার মধ্যেও নতুনদের সহযোগিতা করার মানসিকতা রয়েছে। জায়েদ খানের বিষয়টাও তেমন। শাবনূর ও অমিত হাসান আমার কমন ফ্রেন্ড। তাদের অ’নুরোধেই জায়েদকে সাহায্য করি। এর আগে নায়ক শাকিল খানকেও পপি বিয়ে করেছিলেন বলে খবর রটেছিল।
সে বিষয়েও কথা বলেন নায়িকা। পপি দাবি করেন, আমি কখনোই এসব নিয়ে কিছু বলিনি। সে (শাকিল খান) হয়তো আমাকে পছন্দ করত, ভালোবাসতো। এটা তার ব্যাপার ছিল। যতবারই আমি নায়কদের হেল্প করতে চেয়েছি, ততবারই বিয়ের খবর ছ’ড়িয়েছে। সমসাময়িকদের মধ্যে আমি অবিবাহিত ছিলাম বলেই শাকিলের সঙ্গে বিয়ের খবর রটেছিল।