শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন

কাশ্মীর জুড়ে চলছে খাদ্যের হাহাকার, সব বন্ধ করেছে মোদি সরকার

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৯
  • ১৪৫৫ Time View

স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ব্যাপক হারে দমনপীড়ন চলছে।একটানা তিনদিন ধরে অঘোষিত কারফিউ চলছে কাশ্মীরে। সংবিধানের ৩৬০ ধারা লোপের আগের দিন থেকে ১৪৪ ধারা আরোপের মাধ্যমে শৃঙ্খলিত করা হয়েছে কাশ্মীরি জনগণের চলাফেরার স্বাধীনতাকে। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বন্দি করা হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে। ফলে রাস্তাঘাটে কোনো জনমানব চোখে পড়ছে না। বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ, অফিস-আদালত, দোকানপাট, বাজারঘাটসহ গোটা গোটা উপত্যকা। এ অবস্থায় চরম খাদ্য সঙ্কটে পড়েছে সেখানকার লোকজন।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, গত কয়েকদিনের এমন পরিস্থিতির কারণে খাবার ও অর্থ সংকটের মধ্যে পড়েছেন কাশ্মীরের মানুষ। অনেকের ঘরেই খাবার মজুদ নেই। আবার যাদের ব্যাংকে টাকা আছে তারাও এটিএম বুথগুলো বন্ধ থাকার কারণে টাকা তুলতে পারছেন না। আবার অনেকেই এটিএম থেকে টাকা তুলেছেন সেগুলোও খরচ হয়ে গেছে। আর তুলনামূলক দরিদ্র জনগোষ্ঠীরা তো খাবার বা টাকাও জমা রাখতে পারেননি। ফলে মৌলিক জিনিসপত্রের চরম সংকটে পড়েছেন তারা।

আর টাকা থাকলেও বা কি, বাজারই তো খোলা নেই। ভারতীয় সেনারা তো লোকজনকে ঘর থেকে বের হতেই দিচ্ছে না। ফলে গোটা উপত্যকা জুড়ে খাবারের হাহাকার শুরু হয়ে গেছে। আরো কিছুদিন ভারতীয় শাসকদের এই জুলুম চলতে থাকলে উপত্যকার লোকদের যে কী অবস্থা হবে তা সহজেই অনুমান করা যায়। চাইলেও ঘর থেকে বের হতে পারছে না তারা, কারো সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছে না। কার্যত বিশ্ব থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এই ভূস্বর্গ।

গত সোমবার হঠাৎ করেই সংসদে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা দানকারী ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই ঘোষণার আগের দিন রাতেই কাশ্মীর রাজ্য জুড়ে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এর ফলে চরম রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েছে কাশ্মীরি জনগণ।

সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin