“বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে দেশ আজ উন্নয়নে মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যেতো” বলে মন্তব্য করেছন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর তেজগাঁও বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে তাদের উদ্যোগে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ প্রামাণ্যচিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অ’তিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন বিশ্বনেতা। বাঙালি জাতি তাদের হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে তার নেতৃত্বেই স্বাধীনতা অর্জন করে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। সেকারণেই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, আমাদের জাতির পিতা।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতিসত্ত্বার বিকাশের পর হাজার হাজার বছর আমাদের কোনো রাষ্ট্র ছিল না। অনেকেই চেষ্টা করেছেন, কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতা আনতে পারেননি। বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার ভাষাও বাংলা ছিল না। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাঙালি জাতির স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।
শুধু স্বাধীনতাই নয়, মুক্তিযু’দ্ধের পর বঙ্গবন্ধু একটি যু’দ্ধবি’ধ্বস্ত রাষ্ট্রকে ধ্বংসস্তূপ থেকে তুলে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভা’রতের আশ্রয় থেকে ফেরা এক কোটি সম্বলহীন মানুষ, দেশের ভেতরে আরো দুই কোটি উদ্বাস্তু মানুষ, ভগ্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা আর শূন্য
বৈদেশিক রিজার্ভের দেশকে তিনি যখন সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই যারা এদেশের অভ্যুদয় চায়নি, স্বাধীনতা চায়নি, সেই চক্র স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মা’থায় তাকে সপরিবারে হ’ত্যা করে। এ হ’ত্যাকা’ণ্ড শুধু বঙ্গবন্ধুকে হ’ত্যার উদ্দেশে নয়, এটি ছিল বাঙালি জাতির স্বাধীনতাকে হ’ত্যার ষড়যন্ত্র।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নি’র্মমভাবে হ’ত্যা করা হয়, তখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭.৪ শতাংশ, যা আম’রা ৪০ বছর পর, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অ’তিক্রম করেছি।
সে বছর দেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল, অনেক পরিসংখ্যান মতে সে বছর দেশে ১০ হাজার মেট্রিক টন অ’তিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অগ্রগতির সে ধারায় দেশ আজ উন্নয়নে মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যেত।
বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নপূরণ করে যেতে পারেননি। কিন্তু তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে বলেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বনেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য এক অনন্য দলিল।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টর বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইস’লাম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক মহিলা ও শি’শু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিও’র প্রধান নির্বাহী কর্মক’র্তা সৈয়দ আশিক রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হু’মায়ুন কবীর।