ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির অভিযোগ এনেছেন প্রযোজনা সংস্থা শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান। ‘শাহেনশাহ’ সিনেমা রিলিজ বন্ধে শাকিব তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশসহ নানা হুমকি-ধমিক দিয়েছিলেন বলে সময় নিউজকে
জানিয়েছেন সেলিম খান। শাকিব খানের বিরুদ্ধে সিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগও আনেন এই প্রযোজক। সেলিম খানের অভিযোগের ভিত্তিতে শাকিব খানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। সময় সংবাদকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রযোজক সেলিম খান বলেন,
‘২০১৭ সালে শাকিব খানের সাথে আমার তিনটি ছবির চুক্তি হয়। পরবর্তীতে দেখি তাকে চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন বয়কট করেছে। সেসময় আমি আদালতে রিট করে তাকে কাজে ফেরাই। তাকে নিয়ে টানা কাজ শুরু করি। অনেক ঝামেলা শেষ করে আমি তাকে দিয়ে ‘আমি নেতা হব’ সিনেমা
এরপর ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্লা মাইয়া’ ও ‘ক্যাপ্টেন খান’ সিনেমা বানালাম। এরপর শামাীম আহমেদ রনির ‘শাহেনশাহ’ ও শাহীন সুমন পরিচালিত ‘বিদ্রোহী’ সিনেমার কাজ শুরু করি। এই দুটি ছবি করতে গিয়েই তিনি সিডিউল ফাঁসালেন। যার ফলে ‘শাহেনশাহ’ ছবির কাজ করতে
গিয়ে বাজেটের চেয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা বেশি খরচ হয়। এছাড়াও আমার আরেকটি ছবি ‘বিদ্রোহীর’ কাজ শেষ করছিলেন না শাকিব। পরে কাজ করে নেওয়ার জন্য আইনি সহায়তা নেই। এরপর তিনি কাজটি করে দেন।’ সেলিম খান বলেন, বিপত্তিটা বাধলো তখন যখন ‘শাহেনশাহ’
সিনেমা রিলিজ করব। গণমাধ্যমে নিউজ হলো ঈদে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। কিন্তু শাকিব তার নিজের ছবির জন্য আমাকে এই ছবি আটকাতে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা আমাকে প্রাণনাশের মতো হুমকি দেন। তবে আমি ঝামেলা না করে রিলিজ থেকে সরে আসি। চিত্রনায়ক শাকিব খান কি আপনাকে
নিজে হুমকি দিয়েছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে সেলিম খান বলেন, শাকিব খান তার ‘পাসওয়ার্ড’ সিনেমা মুক্তির জন্য আমার ‘শাহেনশাহ’ সিনেমার মুক্তির তারিখ কয়েকবার পিছিয়েছেন। এই সিনেমাটি যেন মুক্তি না দেই সেজন্য তিনি তার সন্ত্রাসীবাহিনী দিয়ে আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন।’
শাকিব খান আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছেন। আপনি নিজেই ছবির কাজ সময়মতো করেননি। এমন প্রশ্নে সেলিম বলেন, একজন প্রযোজক কখনো চান না তার নিজের ছবির কাজ সময় বেশি লাগুক। প্রযোজক লগ্নি করার সাথে সাথে ছবিটি দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করেন। কাজেই তার এমন কথা
ভিত্তিহীন। চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে সেলিম খানের অভিযোগের ভিত্তিতে শাকিব খানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন এই প্রতিবেদক। কয়েক দফায় তাকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ না করে প্রতিবেদকের ফোন নম্বর ব্ল্যাকলিস্টে রেখে দেন।