বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং মারপিটের অভিযোগে অভিযুক্তসহ এক নারী নেত্রীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায়। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি সিরাজুলকে গ্রেপ্তার করেছে।
তাকে মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) আদালতে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশসহ একাধিক সূত্র জানায়, কেন্দুয়াবাজারের মোবাইলফোন বিক্রেতা এবং উপজেলার মাস্কা ইউনিয়নের দুলাইন গ্রামের
বকুল মিয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩০) মোবাইলফোনে যোগাযোগের সূত্র ধরে খুলনা সদর উপজেলার ওই কিশোরীর (২২) সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে ডেকে এনে সিরাজুল মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
সর্বশেষ সোমবার মেয়েটিকে একইভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে এনে নারীনেত্রী ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার কেন্দুয়া উপজেলা সদরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। একপর্যায়ে সেখানে মেয়েটিকে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে ওইদিন বিকেলে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় নির্যাতনের শিকার মেয়েটি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং মারপিট ও হুমকি দেওয়াসহ এ কাজে সহায়তা করার অপরাধে দায়ের করা ওই মামলায় অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম ছাড়াও নারীনেত্রী ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে আসামি করা হয়েছে।
কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলে এলাহী জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে মামলার প্রধান আসামি সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নির্যাতিত মেয়েটিকেও নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।