৫ বছরের দীর্ঘ নির্বাসন কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরেছেন। আর মাঠে নেমেই যা তা নয়, একেবারে রেকর্ড করে বসলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এক আসরে রেকর্ড ৫ সেঞ্চুরি হাঁকালেন মোহাম্মদ আশরাফুল। এমন রাজসিক প্রত্যাবর্তনের পেছনে বড় ভূমিকাটা নাকি এই তারকার
স্ত্রী আনিকা তাসনিম অর্চির! তাও আবার ক্রিকেটটা খুব একটা না বোঝা স্ত্রী! খেলার সময়ের ঈদ আয়োজনে আশরাফুল বলেন, বউ খুব একটা খেলা দেখতো না। আমি তো বিয়ে করেছি নিষেধাজ্ঞার সময়ে (২০১৫ সালে)। ২০১৮ সালে ডিপিএলে ফেরার পর প্রথম ২টা সেঞ্চুরি করার পর সে
খোঁজখবর নেয়া শুরু করলো। তারপর প্রতিদিন বের হওয়ার সময় সকালে জিজ্ঞেস করতো তোমার খেলা আজকে কোথায়? আমি বলতাম, বিকেএসপিতে। তখন সে ভাবতো আমি আজকেও একটা ১০০ করবো। যেদিনই আমি বিকেএসপিতে খেলতে যেতাম সে ভাবতো আমার ১০০ হবে।
এরপর আমিও আসলে আরো ৩টা সেঞ্চুরি পাই। এইটা খুব ভালো লাগার ব্যাপার। আমার ভাগ্যও ভালো। ক্রিকেটার আশরাফুলের সামর্থ্য নিয়ে তো কারোই প্রশ্ন নেই। ক্রিকেটবোদ্ধারা এক বাক্যে স্বীকার করেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত জন্ম নেয়া সবচেয়ে প্রতিভাবান ক্রিকেটারের নাম মোহাম্মদ
আশরাফুল। তবে এই প্রতিভার স্বীকৃতিটা যখন বউয়ের কাছ থেকে পান তখন কেমন লাগে? আশরাফুল এক্ষেত্রে বেশ ভাগ্যবানই। অবশ্য বিয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক। তিনি বলেন, আমি যখন বিয়ে করেছি তখন আমি নিষিদ্ধ ছিলাম। ওই সময়ে যে
মেয়েটা আমাকে বিয়ে করেছে কিংবা যে পরিবার আমার কাছে মেয়ে বিয়ে দিয়েছে, তারা তো সব ভেবেচিন্তেই দিয়েছে। এক্ষেত্রে আমারও মনে হয়, আমি অনেক লাকি। বর্তমানে দুই সন্তানের পিতা আশরাফুল। এরমধ্যে বড় মেয়ে ৪ বছর বয়সী আরিবা। ইউটিউবে আগের খেলার ফুটেজ দেখে খুঁজে
নেয় বাবাকে। আশরাফুলের লক্ষ্য, আরো একবার জাতীয় দলে জায়গা করে নেয়া। সেই সামর্থ্যও তার আছে বলেই বিশ্বাস তার। আশরাফুল বলেন, আমি ফিরতে পারি। আগেও অনেকবার বাদ পড়েও ব্যাক করেছি। ২০১৮ সালের মতো একটা মৌসুম যদি আবারো কাটাতে পারি তাহলে তো হলোই।
আমার কাজ হলো পারফর্ম করা। টিম ম্যানেজমেন্ট যদি চায় এই জায়গায় আমাদের একজনকে লাগবে তাহলে হয়তো আবারো দলে ফিরতে পারবো। দেখা যাক, এক্ষেত্রে আশরাফুলের বউভাগ্য কতোটা কাজে দেয়! অন্তত: আরো একটা দুর্দান্ত ঘরোয়া মৌসুম যদি পাড়ি দিতে পারেন!