অবরুদ্ধ কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। শনিবার (০১ আগস্ট) পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এবং তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের মধ্যকার ফোনালাপের পর ইসলামাবাদ এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় কাশ্মীরসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দুই নেতার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
পাকিস্তান প্রেসিডেন্টের দফতর এক টুইট বার্তায় জানায়, প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আলভি এবং প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান টেলিফোনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। এসময় কাশ্মীরসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেন তারা।
প্রেসিডেন্ট আলভি বলেন, ফিলিস্তিন এবং ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে দখলদার বাহিনী করোনা মহামারির মধ্যেও দমনপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।’
আরেক টুইটে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট দফতর জানায়, তুর্কি প্রেসিডেন্ট নিশ্চিত করেছেন তার দেশ কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়ে যাবে। এ ইস্যুতে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দু’দেশের একই লক্ষ্য বলেও জানানো হয়।’
করোনা মহামারির পরে পাকিস্তান প্রেসিডেন্টকে তুরস্ক সফরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। এসময় আয়া সোফিয়াকে প্রায় ৯ দশক পর মসজিদে ফিরিয়ে আনায় এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানান আলভি।
আয়া সোফিয়াকে মসজিদে ফেরানোয় এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। বলেন, আয়া সোফিয়ার উদ্বোধনী জুমার নামাজ পাকিস্তানের লাখ লাখ মানুষ টেলিভিশনে সরাসরি দেখেছে। ইরমান-এরদোয়ান ফোনালাপের পর পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর দফতর এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানায়।
বলা হয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-তুরস্কের যৌথ বিবৃতিতে দেয়া প্রতিশ্রুতির পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। কাশ্মীর বিষয়ে তুরস্কের অব্যাহত সমর্থনকে গভীরভাবে সম্মান জানায় পাকিস্তান।
গেলো বছরের ৫ আগস্ট কাশ্মীরের স্বায়ত্ত্বশাসন বাতিল করে মোদি সরকার। প্রত্যাহার করা হয় অঞ্চলটির জনগণকে দেয়া বিশেষ মর্যাদা। রাজ্যকে দু’ভাগে পৃথক করা হয়। তৈরি করা হয় কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত জম্মু এবং কাশ্মীর নামে আলাদা দুটি অঞ্চল। ওই ঘটনার বর্ষপূর্তির কয়েকদিন আগে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলাপ করলেন এরদোয়ান।
গেলো সপ্তাহের শুরুতে কাশ্মীর দখলের দিনকে ‘শোষণদিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। হাতে নেয়া হয় বিভিন্ন আয়োজন। বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে কাশ্মীরে ভারতের চালানো নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরতে এদিন ভাষণ দিতে পারেন ইমরান খান।