সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণে চীনের বেইজিং আরবান কন্সট্রাকশন গ্রুপের সঙ্গে ২১১৬ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
গত এপ্রিলে চুক্তি হওয়া ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হতে ২ বছর ৯ মাস সময় লাগবে। প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হলে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি অত্যাধুনিক টার্মিনাল ভবন,
একটি কার্গো ভবন, আধুনিক এটিসি টাওয়ার, ট্যাক্সিওয়ে ও এপ্রোন এবং আধুনিক ফায়ার স্টেশন স্থাপন সম্ভব হবে। এর ফলে বিমানবন্দরের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৬ লাখ থেকে ২০ লাখে উন্নীত হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পটি বর্তমান সরকারের একটি দূরদর্শী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
চীনকে কেন দেয়া হলো? এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রশ্ন উঠেছে কেন চীনকে কাজ দেওয়া হলো এবং ভারতকে দেওয়া হলো না।
এক্ষেত্রে টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুযায়ী টেকনিক্যাল ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে কাজ দেওয়া হয়। আমি যেটা শুনেছি চীনারা টেকনিক্যালি কোয়ালিফায়েড এবং আর্থিক দিক থেকে সবচেয়ে কম রেট।
ভারতের আর্থিক বিষয়টি অনেক বেশি ছিল এবং এর ফলে তারা টিকতে পারেনি। কিন্তু কোনও পত্রিকা বলছে আমরা চীনকে বেশি সুবিধা দিয়েছি, যা একেবারেই অবান্তর।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা শান্তিপ্রিয় দেশ এবং সবার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নাই। মিডিয়া ইচ্ছা করে অবান্তর জিনিস রটাচ্ছে, যাকে রাবিশ বলা যায়।’