আগামীকাল আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দিয়ে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপের সুপার লিগের খেলা। গত বিশ্বকাপে আইসিসি ওয়ানডে র্র্যাংকিং এ সেরা ৮ দল সুযোগ পেয়েছিল সরাসরি
বিশ্বকাপে খেলার। কিন্তু এবার আর সেটি থাকছে না। এখন থেকে স্বাগতিক দেশ ছাড়া বাকি সব দেশকেই বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করতে হবে। আর সেই বাছাইপর্ব হবে আটটি ওয়ানডে সিরিজের মধ্য দিয়ে।
প্রতিটি সিরিজের থাকবে তিনটি করে ওয়ানডে ম্যাচ। স্বাগতিক দেশ ছাড়া পয়েন্ট টেবিলের সাতটি দল সরাসরি অংশগ্রহণ করবে ২০২৩ বিশ্বকাপে। বাংলাদেশকে ও খেলতে হবে ৮ টি ওয়ানডে সিরিজ। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরে রয়েছে ২০২৩ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের প্রথম পরীক্ষা অর্থাৎ সিরিজ।
সুপার লিগে অংশগ্রহণ করবে মোট ১৩টি দল। প্রথম ১২টি দল হচ্ছে নির্ধারিত সময়ের মাঝে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা ১২ দল। ত্রয়োদশ দলটি হল ওয়ার্ল্ডকাপ লিগ-২ এর বিজয়ী দেশ নেদারল্যান্ড।
ফরম্যাটের মারপ্যাঁচে বলা যায় বাংলাদেশের জন্য কঠিন পরীক্ষা নিয়ে এসেছে আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপ সুপার লিগ। আগামী ৩০ জুলাই ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে এই লিগ শুরু হলেও বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ রয়েছে ডিসেম্বরে, শ্রীলংকার বিপক্ষে।
অবশ্য বাংলাদেশকে দিয়েই এই সুপার লিগ শুরু হতে পারত। মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে গত মে মাসে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজটি স্থগিত করা হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে সেটিই বিশ্বকাপ সুপার লিগের প্রথম সিরিজ হওয়ার কথা ছিল।
আগামী ডিসেম্বরে শ্রীলংকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে রয়েছে পরবর্তী ওয়ানডে সিরিজ। এফটিপি অনুসারে বাংলাদেশের পরবর্তী সিরিজগুলো হচ্ছে- ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ (জানুয়ারি), নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ (ফেব্রুয়ারি),
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ (জুনে), ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ (অক্টোবরে)। এছাড়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ ও মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে টাইগাররা।