বিশ্বকাপে খেলা এখন প্রতিটি দলের কাছেই একটু কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার কারণ স্বাগতিক দেশ ছাড়া এখন সরাসরি বিশ্বকাপে খেলতে পারবেনা কোন দল। প্রতিটি দলকে বাছাইপর্বের মত একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে হবে। যার নাম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল দিয়েছে বিশ্বকাপ সুপার লীগ। টেস্ট খেলুড়ে বারোটি দেশসহ নেদারল্যান্ড কে নিয়ে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে এই লীগ।
যেখানে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা সাতটি দেশ সরাসরি অংশগ্রহণ করবে বিশ্বকাপে। ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। দল হিসেবে সেরা আটের মধ্যে থাকায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল টুর্নামেন্ট শুরুর অনেক আগেই। বাকি দুটি দলকে আসতে হয়েছিল বাছাইপর্ব খেলে। কিন্তু ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও সরাসরি খেলতে হলে আরও কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে রাখতে হবে বাংলাদেশকে।
তিন বছর মেয়াদে প্রতিটি দল মোট আটটি সিরিজ খেলবে হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিতে। প্রতিটি সিরিজ হবে তিন ম্যাচের। জয়ের জন্য থাকছে ১০ পয়েন্ট। ম্যাচ টাই বা পরিত্যক্ত হলে ৫ পয়েন্ট।
করোনা বিরতি কাটিয়ে খেলা শুরু হলে তামিম ইকবালের দলকে আগামী তিন বছর তাকিয়ে থাকতে হবে ওয়ানডে লিগের পয়েন্ট টেবিলে। একরকম ভাবনা অবশ্য এখনই শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বকাপে সরাসরি অংশ নিতে আসন্ন প্রতিটি সিরিজই পাবে বিশেষ গুরুত্ব।
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ব্যাপারটা দেখছেন এমন করে, ‘র্যাঙ্কিংয়ে আমরা ওয়ানডেতে আটে আছি। এটা আমাদের বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে দেবে না। তাই সামনের প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
৮ সিরিজের মধ্যে অনেক কঠিন এবং অনেক সহজ সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। তাইতো বাংলাদেশের থেকে নিচে থাকা দলগুলির বিপক্ষে ভালো খেলার আশাবাদ করলেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করতে হলে নিচের সারির দলের বিপক্ষে অবশ্যই সম্পূর্ণ পয়েন্ট অর্জন করতে হবে বাংলাদেশকে।
‘এটা (বাছাই প্রক্রিয়া) খুব নতুন কিছু নয়। কেননা গত বিশ্বকাপেও আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাছাই থেকেই বিশ্বকাপে এসেছিল। এখানে শুধু আমরা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলের সঙ্গেই নয়, নিচের দলগুলোর বিরুদ্ধেও খেলব। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে তাদের বিরুদ্ধে যেন পয়েন্ট না হারাই। নয়ত আমাদের বিপদের কারণ হবে।’
তিন বছরের পালা শেষে যারা সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারবে না সেই ৫ দল ও সহযোগী ৫ দলকে পরীক্ষা দিতে হবে বাছাইপর্বে। সেখান থেকে পরের বিশ্বকাপে যাবে মাত্র দুটি দল। ১০ দল নিয়ে হবে ভারতের আসরটি। যা এককভাবেই আয়োজন করবে ভারত। ২০১১ বিশ্বকাপেও আয়োজক হয়েছিল দেশটি। সহযোগী ছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।