সম্ভাবনাময়ী পেসার বলা হতো কাজী অনিককে। গতি আর সুইংয়ে নিজেকে প্রমাণ করেন এই বা-হাতি পেসার। আর সেই পেসারকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত বছর ডোপ টেস্টে এই পেসার পজেটিভ প্রমাণিত হয়েছিলেন।
অনিক নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৮ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত বোলিং করে সবার নজরে চলে এসেছিলেন। যদিও বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই তার অনিয়ন্ত্রিত জীবন ও উশৃঙ্খলতার খবর চাউড় হয়েছিল।
অবশ্য সেটা ছিল নিতান্তই সন্দেহের ওপর ভিত্তি করে। গত বছর তার রক্তে নেশাজাত দ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এর ফলে গত বছরের বিপিএল ড্রাফটে থাকলেও তার খেলা হয়নি।
২০১৮ সালে ঢাকা মেট্রোর হয়ে খেলার সময় নেশাজাত দ্রব্য নিয়ে খেলতে নামেন অনিক। যা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নীতি বিরুদ্ধ।
বিসিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা তাঁকে বিসিবির সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছি।’ এর আগে বিসিবি জানিয়েছিল, অনিককে বয়সভিত্তিক দলের সব ধরনের প্রোগ্রাম থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে অনিকের শাস্তি এক বছর শেষ হয়েছে এবং ২ বছরের পূর্ণ মেয়াদের শাস্তিও প্রায় শেষের পথে। বিসিবি জানিয়েছে, শাস্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস আগে থেকেই অনুশীলন করতে পারবেন তিনি।