আজ রোববার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় আমর্ড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে র্যালী বের করা হয়। পরে সেমিনারে যোগ দেন র্যালীতে অংশ নেয়া মেডিকেল শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ। র্যালি হয়েছে আরও বিভিন্ন স্থানেও।
কেন হয় হৃদরো’গ হৃদযন্ত্রের কাজ হলো – শ’রীরের বিভিন্ন অংশে যথাযথভাবে র’ক্ত সরবরাহ করা। র’ক্ত শ’রীরকে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ করে, পাশাপাশি বিপাকীয় বর্জ্য অপসারণে সহায়তা করে। বিভিন্ন কারণে এ যন্ত্রটি রো’গে আ’ক্রান্ত হয়ে পড়ে।
হৃদযন্ত্রের ক’রোনারি ধমনিতে ব্লক, হৃদযন্ত্রের ভাল্ব ন’ষ্ট, হৃদযন্ত্রের পর্দায় পানি জমা, আকার বড় হওয়া ও দু’র্বল হওয়া ইত্যাদি রো’গ অন্যতম। এসব রো’গ মূ’লত ক’রোনারি ধমনিতে চর্বির আধিক্য, ডায়াবেটিস, হরমোন, টিবি, ক্যানসার, টিউমার, বাতজ্বর, ধুমপান, শ’রীরের ওজন বৃ’দ্ধি, উচ্চ র’ক্তচা’প, কায়িক পরিশ্রম একদম না করা, না’রীদের জ’ন্মনি’য়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণ, অ্যালকোহল পান ও অ্যান্টিক্যানসার ড্রাগ গ্রহণ এমনকি জেনেটিক্সের মাধ্যমে আমাদের পিতামাতার কাছ থেকে চলে আসতে পারে।
২. চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত উচ্চ-র’ক্তচা’পের ও’ষুধ বন্ধ করবেন না- প্রত্যেকেরই র’ক্তচা’প নি’য়মিত পরীক্ষা করা উচিত। কায়িক পরিশ্রম বাড়িয়ে, স্বাস্থ্যকর খাবারের মাধ্যমে এবং স্বাস্থ্যকর ওজন ধরে রাখার মাধ্যমে উচ্চ র’ক্তচা’প হ্রাস করা যায়।
৩. ডায়াবেটিসে র’ক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রনে রাখু’ন – অতিরিক্ত ওজন এবং শা’রীরিক নিষ্ক্রিয়তা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে। যেভাবেই হোক ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে নতুবা হৃদরো’গ, স্ট্রোক, কিডনি রো’গ অথবা পায়ের র’ক্তনালির সমস্যা হতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রো’গীদের ও’ষুধ সেবনের পাশাপাশি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত।
৪. প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন – ছন্দবদ্ধ জীবন যাপনের মাধ্যমে উচ্চ-র’ক্তচা’প, ডায়াবেটিস, হৃদরো’গ নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব। নিয়মিত ব্যায়াম র’ক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে, ক্যালোরি পোড়ায় এবং কোলেস্টেরলের জটিলতা রোধ করতে সহায়তা করে।
৫. কোলেস্টেরল কখনই ঘুমায় না – কোলেস্টেরল সর্বদা আপনার র’ক্তনালীগু’লির ক্ষ’তি করার চেষ্টা করে। র’ক্তে খুব বেশি কোলেস্টেরল হৃদরো’গের ঝুঁ’কি বাড়ায়। প্রা’প্তব’য়স্কদের সাধারণত ৪০ বছর বয়সে প্রতি বছর কমপক্ষে একবারে তাদের কোলেস্টেরল পরিমাপ করা উচিত।
৬. শ’রীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখু’ন – পরিমিত স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য তালিকা এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সক্রিয় হন। অভিভাবকদের উচিত ছোট বেলা থেকেই স’ন্তানদের এ ব্যাপারে সহায়তা করা। এবং ফাস্ট ফুড পরিহার করে খেলাধুলার অভ্যাস করার অনুপ্রেরণা দেয়া।
যদি কারো পরিশ্রম করলে বুকে চা’প চা’প লাগে, সিঁড়ি ব্যবহার করলে দম বন্ধ হয়ে আসে, তা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। এ জন্য হৃদযন্ত্রের রো’গ সম্প’র্কে নিশ্চিত হতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা রয়েছে।
কারো হৃদযন্ত্রের রো’গ আছে কিনা, জানতে উপসর্গ অনুযায়ী ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি এবং ইটিটি করা যেতে পারে। যদি পরীক্ষায় পজিটিভ হয়, তা হলে এনজিওগ্রাম করা দরকার। কারণ এনজিওগ্রামের মাধ্যমে জানা যাবে হৃদরো’গের প্রকৃত অবস্থা।
সেই অবস্থা দেখেই ব্যবস্থা নিতে হবে। কারো হা’র্ট অ্যা’টাক হলে তার হৃদযন্ত্রে রিং পরাতে হয় অথবা বাইপাস করতে হয়। বাজরে যেসব রিং বিক্রি হয়, সেগুলোর মধ্যে মানের দিক থেকে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে।