অবশেষে স্থগিত হয়ে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর এতেই থমকে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। বিশ্বক্রিকেটের যখন সব দলই আবার একে অন্যের সাথে লড়াই করতে ব্যস্ত হয়ে উঠছে সেখানে বাংলাদেশকে এই বছরের পুরোটা সময় বসে থাকতে হবে। যদিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ছিল বাংলাদেশের।
কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত হওয়ার কারণে মাত্র তিন ম্যাচের জন্য নিউজিল্যান্ডে যাবে কি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল? ইতিমধ্যেই এশিয়া কাপ সহ এই বছরের সকল খেলায় স্থগিত হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের। তবে বাংলাদেশের সামনে আরও একটি সুযোগ রয়েছে।
কিছুদিন আগেই গুঞ্জন উঠেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিবর্তে অক্টোবরে শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যেতে পারে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। যদি এই সিরিজটি অনুষ্ঠিত হয় তাহলে শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়েই মাঠে ফিরতে পারবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
তবে এর আগে বাংলাদেশ এইচপি দল শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বলে কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। ইতিমধ্যেই দেশের সকল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে ১২ জন ক্রিকেটার। শুধু তাই নয় আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে ৩৮ সদস্যের দল নিয়ে কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু করবে বাংলাদেশ দল।
যার মধ্যে রয়েছে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের ক্রিকেটাররা। এইচপি দলের ক্রিকেটারদের থাকা একটি কারণও রয়েছে। সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ এইচপি দলের। বাংলাদেশ এইচপি দলের শ্রীলঙ্কা সফর আগেই চূড়ান্ত ছিল।
সূচি অনুযায়ী দলটিকে দ্বীপরাষ্ট্রে পাঠাতে চায় দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এজন্য দুই বোর্ডের মধ্যে আলোচনাও চলছে। সফর চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশের দলটি যাবে হাম্বানটোটায়। সেখানে আইসোলেশন শেষে ট্রেনিং শুরু করবে দল।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছেন,‘এইচপি দলকে শ্রীলঙ্কা পাঠানোর আলোচনা হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা রাজি হলে আমরা দল পাঠাতে পারবো। আমরা সেভাবেই স্কোয়াড তৈরি করেছি। দুই বোর্ডের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। সামনে নিশ্চয়ই কোনো আলোচনা হবে।’
শুধু এইচপি নয়, জাতীয় দলের স্থগিত হওয়া সফর নিয়েও দুই বোর্ডের আলোচনা হচ্ছে। অক্টোবর-নভেম্বরের ফাঁকা সূচিতে তিন টেস্ট খেলার ব্যাপারে কথা বলছে দুই বোর্ড। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ গতমাসে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য অনুশীলন না করতে পারায় স্থগিত ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।