মাত্র সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়ে ২৮ লাখ সুদের কবলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। যশোরের চৌগাছায় এক সুদের কারবারীর কাছ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়ে এ পর্যন্ত ৬ বছরে সুদ ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেওয়ার এ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) প্রেসক্লাব চৌগাছায় সংবাদ সম্মেলনে সুদের ব্যবসায়ী মিঠুর বিরুদ্ধে ভুক্তভুগী হায়দার আলীর এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে হায়দার আলী অভিযোগ করেন, ২০১০ সালে ব্যবসার প্রয়োজনে ন্যাশনাল ব্যাংক চৌগাছা
শাখার তিনটি ব্ল্যাংক (সাদা) চেক জামানত রেখে সুদে মিঠুর নিকট থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাদন/সুদে টাকা নিই। যে টাকার প্রতিমাসে ৪০ হাজার টাকা সুদ হিসেবে দিতে হবে। সে হিসেব মতো দীর্ঘ ৬ বছর সুদের টাকা দিয়েছি ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
তার সুদের টাকা দিতে গিয়ে আমি সর্বশান্ত। ২০১৬ সালে আমার চৌগাছা পৌর শহরের নিরিবিলিপাড়ার নিজের বসতি ভিটা বাড়ীসহ বিক্রি করে পৌর শহরের হুদা চৌগাছা গ্রামের মৃত এরশাদ সর্দারের ছেলে স্থানীয় (মহুরী) দলীল লেখক রেজাউল ইসলামসহ গণ্যমান্য
ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে সুদে মিঠুর নিকট থেকে দাদন নেওয়া সাড়ে ৪ লাখ টাকা পরিশোধ করি। টাকা ফেরত দেওয়ার সময় মিঠু আমাকে বলেন তোমার জামানত রাখা চেকের মধ্যে ১টি চেক হারিয়ে গেছে। বাকী ২টি চেক মিঠু আমাকে ফিরিয়ে দেন।
এর মধ্যে সুদে মিঠু আমার নিকট থেকে জামানত রাখা ন্যাশনাল ব্যাংক চৌগাছা শাখার হারিয়ে যাওয়া সেই চেক যার নং ৫৮১৯৫৪৮ ব্যবহার করে আমার নামে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেছে। নোটিশে সে আমার নিকট বর্তমানে আরো ১১ লাখ টাকা পাবে বলে দাবী করছেন।
তিনি আরো বলেন, শুধু আমিই ভিটে ছাড়া হইনি। সুদে মিঠুর অত্যাচারে সর্বশান্ত হয়েছেন উপজেলার উত্তর কয়ার পাড়া গ্রামের হিন্দুপাড়ার শ্রী বসির বিশ্বাসের ছেলে শ্রী পরেশ বিশ্বাস,
পৌর শহরের বিশ্বাসপাড়ার আইনাল হোসেন বিশ্বাসের ছেলে আশরাফ হোসেন বিশ্বাস, শহরের কারিকার পাড়ার মৃত মানিক বিশ্বাসের ছেলে নজরুল ইসলাম নজু, শহরের নজরুল ইসলামের ছেলে তরিকুল ইসলাম, শহরের বিশ্বাসপাড়ার মৃত আব্দুস শুকুরের ছেলে আলা উদ্দীন।