ক’রোনাভা’ইরাসে (কোভিড -১৯) সং’ক্র’মণ নিয়ন্ত্রণে শনিবার (৪ জুলাই) সকাল ৬ টা থেকে একুশটা অবধি রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় আংশিক লকডাউন করা হয়েছে। লকডাউন ২৫ জুলাই অবধি অব্যাহত থাকবে। শনিবার সকাল থেকে এলাকা, রাস্তাঘাট, গলি ও গলির অবাধ চলাচল কার্যকরভাবে বন্ধ রয়েছে।
ওয়ারী এলাকার তিনটি রোড ও পাঁচ’টি গলি এই লকডাউনের অধীনে রয়েছে। রোডগুলো হলো- টিপু সুলতান রোড, যোগীনগর রোড ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) পর্যন্ত। গলিগুলোর মধ্যে লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, র্যাংকিং স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিটে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের ৩০ জুন কোভিড -১৯ নিয়ন্ত্রণের জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়নের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির বৈঠকে পূর্বের ঘোষণাপত্র অনুসারে এই লকডাউন বাস্তবায়ন করা হয়েছে। লকডাউন কার্যকর হওয়ার আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
প্রতিটি রাস্তা ও এলি বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লকডাউনের প্রস্তুতি গত তিন দিন ধরে মাইকিং করে স্থানীয়দের কাছে জানা গেছে। নমুনা সংগ্রহের জন্য ওয়ারী গার্লস হাই স্কুলে বুথ স্থাপন করা হয়েছে। লকডাউন এলাকার নাম এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষের জরুরি ফোন নম্বর উল্লেখ করে বিভিন্ন সড়ক মোড়গু’
লিতে ব্যানার টাঙানো হয়েছে। জানা গেছে, ওয়ারীর লকডাউন এলাকায় গত ১৪ দিনে ক’রোনাভা’ইরাসে পজিটিভ রো’গী শনাক্ত হয়েছে ৪৬ জন। আ’শঙ্কা করা হচ্ছে- আরও অনেকে সংক্রমিত হতে পারে। সেই আ’শঙ্কা থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
লকডাউন এলাকায় সার্বিকভাবে সব কিছুই বন্ধ থাকবে, শুধু ও’ষুধের দোকান খোলা থাকবে। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের স’ঙ্গে সমন্বয় করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনীয় যাতায়াত সুবিধার জন্য ওয়ারী এলাকার দুটি পথ খোলা থাকবে। বাকি পথগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।
এ এলাকায় একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে। নমুনা সংগ্রহ করার জন্য বুথ থাকবে এবং সিটি করপোরেশনের মহানগর জেনারেল হাসপাতালে আ’ক্রান্তদের জন্য আইসোলেশন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের জন্য মীনাবাজার ও স্বপ্নসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের স’ঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সেই স’ঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে যেসব স্বাস্থ্যবিধি (এসওপি) দেয়া হয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে পালন করা হবে। এর আগে ওয়ারী এলাকা নিয়ে বিশ্লেষণের পাশাপাশি এটিকে লকডাউন করার বি’ষয়ে প্রস্তুতি নেয় ডিএসসিসি। এছাড়া লকডাউন এলাকায় মানুষের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ,
নমুনা সংগ্রহ, হোম কোয়ারেন্টাইন, লকডাউনের কারণে কর্মহীনদের খাদ্য ব্যবস্থাপনা, টেলিমেডিসিন সার্ভিস, রো’গী পরিবহন, প্রয়োজনীয় পণ্য হোম ডেলিভারি ও মনিটরিং কমিটিসহ অন্যান্য ব্যবস্থাপনা কীভাবে করা হবে এসব বি’ষয়ে প্রস্তুতি নেয়া হয়।