শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৩ অপরাহ্ন

অবশেষে জানাগেল কবে বাজারে আসবে দেশীয় ক’রোনার টিকা

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০২০
  • ২৬৫ Time View

বাংলাদেশি প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক’রোনাভা’ইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) আবিষ্কারের দাবি করেছে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। প্রথম ধাপে ৫০ থেকে ৭০ লাখ টিকা উৎপাদন করবেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এসব তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়, অনানুষ্ঠানিক পর্যায়ে থাকা তাদের আবিষ্কারের টিকা এরই মধ্যে তিনটি খরগোশের দেহে প্রয়োগ করে ইতিবাচক অগ্রগতি পাওয়া গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ক’রোনার টিকা তৈরি হয়েছে বলেই তা প্রাণীর দেহে প্রয়োগ করা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা দলের প্রধান আসিফ মাহমুদ বলেন, টিকাটি খরগোশের ওপর প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে।

এতে ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেছে। এখন পরবর্তী প্রটোকল তৈরির কাজ চলছে। এ কাজ শেষ করেই আনুষ্ঠানিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেব।

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী চলমান ক’রোনাভা’ইরাসের প্রকোপে সারা বিশ্বের মানুষ বিপর্যস্ত। তাই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রয়োজনে আমাদের নিয়মিত গবেষণার পাশাপাশি ‘কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট, টিকা এবং ওষুধ’ আবিষ্কার সংক্রান্ত গবেষণা কর্মকাণ্ড শুরু হয়।

এ প্রতিষ্ঠানের সিইও ড. কাকন নাগ এবং সিওও ড. নাজনীন সুলতানার সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ক’রোনা প্রতিরো’ধে টিকা (ভ্যাকসিন) আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ক’রোনাভাই’রাসের জিনোম সিকোয়েন্স বায়োইনফরম্যাটিকস টুলের মাধ্যমে পরীক্ষা করে টিকার টার্গেট নিশ্চিত করা হয়েছে।

যা যৌক্তিকভাবে এ ভৌগোলিক অঞ্চলে অধিকতর কার্যকরী হবে। এ টার্গেটের সম্পূর্ণ কোডিং সিকোয়েন্স যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিআই ভাইরাস ডাটাবেইসে জমা দেয়া হয়েছে এবং যা এরই মধ্যে এনসিবিআইয়ে স্বীকৃত ও প্রকাশিত হয়েছে (accession number : MT676411))।

সেই সূত্র ধরেই এখানে গবেষণাগারে আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের বিশদ বিশ্লেষণের পর ল্যাবরেটরি এনিম্যাল মডেলে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে যথাযথ অ্যান্টিবডি তৈরিতে সন্তোষজনক ফলাফল এসেছে।

জানা গেছে, ভ্যাকসিনটি দ্বিতীয় ধাপে এনিমেল মডেলে ট্রায়াল করা হবে। এজন্য ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ সময় লাগবে। এরপরই এই ভ্যাকসিন মানব শরীরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাবে। ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পর ভ্যাকসিনটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাওয়ার জন্য সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে।

সরকারের অনুমতি পেলেই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হবে। তারা বলছে, প্রতিব’ন্ধকতার শিকার না হলে আগামী ডিসেম্বরে বাজারে টিকা আনতে পারবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin