কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে রাবেয়া আক্তার (২০) নামে এক তরুণীকে গ’ণধ’র্ষণের পর হ’ত্যা করা হয়েছে বলে অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজে’লার মাদ্রা গ্রামের পূর্বপাড়ার আলী মিয়ার মেয়ে।
রোববার (২৮ জুন) নিজ ঘরেই গ’ণধ’র্ষণের পর হ’ত্যার ঘ’টনা ঘ’টেছে। রাত ৯টার দিকে নাঙ্গলকোট থা’নার ভারপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী এর স’ত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পু’লিশ নি’হতের ম’রদেহ উ’দ্ধার করে ময়নাতদ’ন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ম’র্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধ’র্ষণের পর তাকে হ’ত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাত’দন্তের প্রতিবেদনে হ’ত্যার বিস্তারিত জানা যাবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজে’লার জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নের মান্দ্রা গ্রামের আলী মিয়ার স্ত্রী জাহানারা বেগম রবিবার সকাল ১১টার দিকে বাজার করতে স্থানীয় মান্দ্রা বাজারে যান। এ সুযোগে মোটরসাইকেলযোগে তিন জন লোক তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে।
তাদের মধ্যে দুই জন যুবক ও একজন মধ্যবয়সী। এ সময় বাড়িতে রাবেয়া আক্তার ও তার নানী জামিলা খাতুন (৭২) ছাড়া অন্য কেউ ছিলেন না। ঘ’টনার সময় রাবেয়া ঘরে ছিলেন এবং তার নানী বাইরে তরকারি কা’টছিলেন।
মোটরসাইকেলে আসা তিন ব্যক্তি সুকৌশলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় তিনি (জামিলা খাতুন) তাদেরকে দেখেননি। পরবর্তীতে ওই তরুণীর মা জাহানারা বেগম বাজার থেকে ফিরে মায়ের কাছে মেয়ে কোথায় তা জানতে চান।
এসময় জামিলা খাতুন তার মেয়েকে বলেন, মোটরসাইকেলযোগে সম্ভবত ব্যাংকের তিন জন লোক এসেছে। রাবেয়া তাদের সাথে কথা বলছে। বিষয়টি নিশ্চিত হতে সাথে সাথেই মা ঘরে গিয়ে মেঝেতে মেয়ের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎ’কার করে কা’ন্নাকা’টি শুরু করে।
মুহূর্তের মধ্যে আশে-পাশের লোকজন জড়ো হয়ে থা’না পু’লিশকে ঘটনাটি অবহিত করে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই তিনজন গ’ণধ’র্ষণ শেষে রাবেয়াকে হ’ত্যা করে পা’লিয়েছে। খবর পেয়ে এদিন বিকেলের দিকে নি’হতের ম’রদেহ উ’দ্ধার করে পু’লিশ।
বছর দুয়েক আগে কুমিল্লার এক প্রবাসীর সাথে রাবেয়ার বিয়ে হয় বলে জানায় স্থানীয়রা। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবা’দের ঝড় উঠে/
রাবেয়া আক্তারের মা জাহানারা বেগম বলেন, ‘আমি বাজার থেকে বাড়িতে এসে ঘরে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের নি’থর দেহ মাটিতে পড়ে আছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে খু’নের আগে আমার মেয়েকে পা’শবিক নি’র্যাতন করা হয়েছে। আমি খু’নিদের ফাঁ’সি চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের দু’জনের বি’রোধ ছিল। ওই দুইজন স’ম্পর্কে আপন ভাই। তারা বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে হ’ত্যার হু’মকিও দিয়েছে। যা নিয়ে এলাকায় সা’লিশও হয়। এর জে’রে তাকে হ’ত্যা করা হতে পারে।’