মিশন ছিল সিরিজ জয়ের। শেষ পর্যন্ত সেই মিশন যেখানে গিয়ে ঠেকে, সেখানে ‘মান’ নিয়েই টানাটানি! সিরিজ জয়ের মিশন হয়ে ওঠেছিল হোয়াইটওয়াশ থেকে নিজেদেরকে বাঁচানোর মিশন। শ্রীলঙ্কা সফরে ছন্নছাড়া দলে পরিণত হওয়া বাংলাদেশ এই মিশনেও পুরোপুরি ব্যর্থ। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়াডেতে ১২২ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে তামিম ইকবালের দল।

শ্রীলঙ্কা সিরিজে ছিলেন না বাংলাদেশের অভিজ্ঞ দুই কাণ্ডারি সাকিব আল হাসান এবং মাশরাফি বিন মুর্তজা। এই দুজনের অবর্তমানে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব বর্তায় ওপেনার তামিম ইকবালের ওপর। অধিনায়কত্ব দেয়া হয় তাঁকে। তবে এই সফরে অধিনায়কত্বের সঙ্গে ব্যাট হাতেও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর দলীয় ব্যর্থতার জন্য সব দোষ নিজের কাঁধেই নিচ্ছেন তামিম। তিনি মনে করছেন বিশ্বকাপ থেকেই নিজেকে ডুবিয়েছেন তিনি। সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকলেও যথেষ্ঠ ভালো কাজ করতে পারেননি বলে মনে করেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘আমি ১২ বছর ধরে খেলছি এবং এখানে অনেকেই আছে যারা অনেক সময় ধরে খেলছে দেশের জন্য। আমরা যেভাবে পারফর্ম করেছি এটা খুবই হতাশার। বিশ্বকাপ থেকেই আমি নিজেকে নিজে ডুবিয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু যথেষ্ঠ নয়। সম্ভবত আমার কিছু সময় নেয়া উচিৎ খেলার বাইরে এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে ফিরে আসা উচিৎ।’

তিন ম্যাচ সিরিজের একটিতেও দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। শুরুতে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন তামিমও। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে রানের খাতা খোলার আগেই মালিঙ্গার বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছিলেন তিনি।

দ্বিতীয় ওয়ানডে তামিম ১৯ রান করে বোল্ড হয়েছেন ইসুরু উদানার বলে। সিরিজের শেষ ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২ রান। এমন পারফর্মেন্সের পর ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প কিছু দেখছেন না বাঁহাতি এই ওপেনার।

তামিমের ভাষ্যমতে, ‘এখানে অনেক নেতিবাচক বিষয় ছিল যার শুরুটা হয়েছিল আমাকে দিয়ে। আমাদের এখান থেকে শক্তভাবে ফিরে আসতে হবে। প্রথম দিন থেকেই আমি বলে আসছি যে দায়িত্বশীল থাকাই হলো সাফল্যের চাবিকাঠি।’

ম্যাচ শেষে তামিম বলেন, ‘প্রথম দিন থেকে আমি বলে এসেছি দায়িত্ববোধ হলো মূলমন্ত্র। আমি ১২ বছর ধরে খেলছি (জাতীয় দলে), অন্যরাও লম্বা সময় ধরে খেলছে। সবচেয়ে হতাশাজনক হলো, আমরা কেউই দায়িত্ব নিতে পারিনি, যখন কিনা দলের আমাদের প্রয়োজন ছিল। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে এবং ফিরে আসতে হবে শক্তিশালী হয়ে।’