বড় লক্ষ্য তাড়ায় আবারো দিশেহারা বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়া টাইগাররা তৃতীয় ওয়ানডেতেও নিজেদের পাল্টাতে পারেননি। ২৯৫ রান তাড়ায় নব্বই রান তুলতেই পাঁচ-পাঁচটি উইকেট নেই টাইগারদের।
টার্গেটে খেলতে নেমে আজও ব্যর্থতার জাল ছিঁড়ে বের হতে পারলেন না তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বিদায় নিলেন দ্বিতীয় ওভারেই। টানা ৬ ম্যাচে বোল্ড হওয়ার পর এবার অন্যভাবে আউট হলেন তামিম। তবে থেকে গেলেন বাজে সময়ের চক্রেই। আউট হলেন ৬ বলে ২ রান করে।
টানা দুটি বাউন্ডারিতে জেগে ওঠার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এনামুল হক। কিন্তু আরেকটির চেষ্টায় বিদায় নিলেন। পারলেন না দলে ফেরার সুযোগটি কাজে লাগাতে।
দ্বিতীয় ওভারে তামিমের বিদায়ের পর বাংলাদেশকে একদম আটকে রেখেছিল শ্রীলঙ্কান বোলাররা। হাত খোলার কোনো সুযোগ আসেনি। এনামুলের ব্যাট থেকে দলের প্রথম বাউন্ডারি আসে অষ্টম ওভারে। পরের বলে মারেন আরেকটি বাউন্ডারি।
পরের বলটি ছিল লেগ স্টাম্পে। ফ্লিকে ওড়াতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করেন এনামুল। ব্যাট চালিয়ে দেন একটু আগেই। বল ওঠে আকাশে। মিড উইকেটে ক্যাচ নেন আভিশকা ফার্নান্দো।
নিজের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে বড় ধাক্কা দিলেন দাসুন শানাকা। বিদায় করে দিলেন মুশফিকুর রহিমকে। সিরিজে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিক। আগের দুই ম্যাচে করেছিলেন ৬৭ ও অপরাজিত ৯৮। কিন্তু এবার আর পারলেন না বিপদ থেকে দলকে উদ্ধার করতে। বরং আলগা শটে বিদায় নিলেন তিনিও।
মিডিয়াম পেসার শানাকার বলটি ছিল একদমই নিরীহ। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে। মুশফিক বলের লাইনে পা যথেষ্ট না বাড়িয়ে চালিয়ে দিলেন ব্যাট। কানায় লেগে বল গেল স্লিপে কুসল মেন্ডিসের হাতে।
সিরিজে টানা তৃতীয়বার ব্যর্থ হলেন মোহাম্মদ মিঠুন। বিদায় নিলেন দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে।
দাসুন শানাকার শর্ট অব লেংথ বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে পুল খেললেন মিঠুন। একটু বেশি উঁচুতেও ছিল বল। তাতেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেন না শট। সীমানা থেকে ছুটে এসে লাহিরু কুমারা প্রথম চেষ্টায় হাতে জমাতে পারেননি বল। তবে ফসকানো বল ঠিকই শেষ পর্যন্ত জমিয়ে নেন মুঠোয়।
৬০ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে পথ দেখানোর ইঙ্গিত দেন সৌম্য ও অপফর্মে থাকা মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু ফের ব্যর্থ দলের অভিজ্ঞ এই খেলোয়াড়। অপফর্মের বৃত্তটা ভাঙতে পারলেন না তিনিও। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত টাইগারদের সংগ্রহ ২২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান।