শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন

ডেঙ্গু মোকাবেলায় ৪০০ দল গঠন, প্রশিক্ষণ পাচ্ছে ২ লাখ শিক্ষার্থী

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০১৯
  • ৯৬৪ Time View

ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস ইজিপ্টি মশার উৎসস্থল পরিচ্ছন্ন করতে দুই লাখ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য ৪০০ দল গঠন করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরে সংবাদ সম্মেলনে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এডিস মশার উৎসস্থল ধ্বংস না হলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। ‘মশার প্রজননস্থল নির্মূলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যত রকম ওষুধই ব্যবহার করি না কেন যদি সোর্স রিডাকশন না হয় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। যদি সোর্স রিডাকশনে আমরা সবাই মিলে কাজ না করি তাহলে ট্রেন্ড থামানো যাবে না। সেদিক থেকে প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন করার দায়িত্ব আমাদের সবার।’

ফ্রোরা বলেন, ‘যদি কোনো কারণে কার্যকরভাবে এটা নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে প্রতিবছর এটা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যায়। পিক টাইম সেপ্টেম্বরে। সুতরাং এখানে একটাই পদ্ধতি সেটা হচ্ছে সোর্স রিডাকশন।

সাধারণ মশার সঙ্গে এডিস মশার জীবনাচরণের পার্থক্য আছে। এই মশাগুলোর জন্ম হয় পরিষ্কার পানিতে। তারা ফলের রস বা এই জাতীয় খাবার খায়। ঘরের জমে থাকা পানি, বিশেষ করে ফুলের টব, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসির পানি এক দুশ্চিন্তার কারণ।

এর পাশাপাশি নির্মাণাধীন ভবন এবং ডাবের খোলস হয়ে দাঁড়িয়েছে উদ্বেগের কারণ। এরই মধ্যে নগর কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান শুরু করেছে। পানি জমে থাকা আর মশার লার্ভা পাওয়ায় কয়েকটি ভবনের মালিককে জরিমানা আর একটি ভবনের তত্ত্বাবধায়ককে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তবে ঘরে মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থল নিয়ে জনসচেতনতার অভাব স্পষ্ট। যদিও এই বিষয়টি আলোচনা নেই তেমন। দেশবাসীকে এ বিষয়ে সচেতন করতে গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা আর নির্দেশনা প্রচার করা হচ্ছে। তার পরেও যে খুব একটা সুফল মিলছে তা নয়। এই অবস্থায় নতুন এক ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার চিন্তা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক সানিয়া তহমিনা আশা করছেন শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে এই কাজে তারা সফল হবেন।

এজন্য ঢাকার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে গিয়ে দুই লাখ শিক্ষার্থীদেরকে বিষয়টি হাতেনাতে শেখানো হবে। আর তারাই বাসায় গিয়ে উৎসস্থল পরিস্কার করবে।

২০০০ সালে প্রথমবারের মতো ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয় বাংলাদেশে। সে বছর মৃত্যু হয় ৯৩ জন। তবে আক্রান্তের সংখ্যা এবারই সবচেয়ে বেশি। আবার এবার ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হয়েছে আগেভাগে, দেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই শনাক্ত হয়েছে রোগী। মৃতের সংখ্যা বেসরকারি হিসাবে এরই মধ্যে ৫০ ছাড়িয়ে গেছে। ফলে আতঙ্কও বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। আর গত তিন দিন ধরে প্রতিদিনই এক হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে শনাক্ত হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin