নভেল করোনাভাইরাসে মৃত্যুর আতঙ্ক জেঁকে বসা বিশ্বে স্বস্তির খবর মিলছে খুবই কম। চীনের গণ্ডি পেরিয়ে দেশে দেশে লাখো মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া এই ভাইরাস শতাব্দির ভয়াবহ আতঙ্ক নিয়ে হাজির হয়েছে বিশ্ববাসীর কাছে। প্রায় তিন লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
সোমবার (১১ মে) এই সংখ্যা পেরিয়েছে ১৫ লাখ, স্বস্তি আপাতত এতটুকুই।
তবে এর বিপরীতে প্রাণহানি ঘটেছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ১০২ জনের; যা মৃত্যু এবং আক্রান্তের প্রায় ১৬ শতাংশ। সোমবার পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লাখ ৬৮৫ জন; মৃত্যু এবং আক্রান্তের হারে যা প্রায় ৮৪ শতাংশ।
বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে করোনায় আক্রান্ত সংখ্যা এখন ৪১ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৮। বর্তমানে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ২৪ লাখ ১৩ হাজার ৬৩১। এই আক্রান্তদের মধ্যে ২৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ জনের অবস্থা তেমন গুরুতর নয় বরং সুস্থ হয়ে ওঠার পথে; হালকা অসুস্থ এই রোগীর হার ৯৮ শতাংশ।
তবে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের গুরুতর কিংবা আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন ৪৭ হাজার ৩৮ জন; যা সংক্রমিত রোগীর (২৪ লাখ ১৩ হাজার ৬৩১ জনের) মাত্র ২ শতাংশ।
প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু এবং সংক্রমণ। চীনে গত বছরের ডিসেম্বরে একেবারে নতুন এই ভাইরাসটি মাত্র ৪ হাজার ৬৩৩ জনের প্রাণ কাড়লেও মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে আমেরিকা এবং ইউরোপের কিছু দেশকে।
একক দেশ হিসেবে করোনায় সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৮০ হাজার ৭৮৭ জন। আক্রান্তের তালিকাতেও শীর্ষে থাকা এই দেশটিতে বর্তমানে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৯৬৩ জন। তবে দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩৩৬ জন। বাকি ১০ লাখ ৩০ হাজার ৮৪০ জন এখনও করোনার চিকিৎসা নিচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনায় সর্বাধিক মৃত্যু যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে ২ লাখ ১৯ হাজার ১৮৩ জন করোনায় আক্রান্ত হলেও প্রাণ হারিয়েছেন ৩১ হাজার ৮৫৫ জন; যা বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং ইউরোপে সর্বাধিক।