স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ট্রেনে চড়েছেন যাত্রীরা। তবে ট্রেন থেকে নামার পর স্টেশনে অধিকাংশ যাত্রীই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেননি। গতকাল রোববার (৩১ মে) বেলা ১১টা ৪০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৫৫ মিনিটের মধ্যে ৭টি আন্তঃনগর ট্রেন রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছেছে। অপর একটি ট্রেন সিলেট-চট্টগ্রাম লাইনে চলাচল করেছে। প্রতিটি ট্রেনেই নির্ধারিত যাত্রীর চেয়ে ৫০ গুণ যাত্রী কম ভ্রমণ করেছেন। অর্থাৎ করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
প্রথম দিনই শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। তবে, সরেজমিন দেখা গেছে, বিভিন্ন ট্রেনে করে রাজধানীতে আসা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক উদ্বেগ লক্ষ করা গেছে। একাধিক যাত্রী জানান, দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এমন অবস্থায় একান্ত নিরুপায় হয়েই তারা ট্রেনে ভ্রমণ করছেন। কঠিন এ সময়ে ট্রেনের ভেতর, বাথরুম, সিটগুলো সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার কথা, কিন্তু তা যথাযথ নয়। এক শ্রেণীর যুবক-শিশুরা ট্রেনগুলোর ভেতর-টয়লেটগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে রয়েছে। তাদের নেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যথাযথ পরিধান। ট্রেনের ভেতর-বাহির জীবাণুনাশক স্প্রে যথাযথভাবে নির্ধারিত শ্রমিকরা (শিশু কিংবা যুবক নয়) যেন করে- অনুরোধ জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। এদিকে, স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠার সময় শারীরিক দূরত্ব মানছেন না অনেকেই। চোখে পড়েছে ঠেলা-ঠেলি করে উঠার সেই পুরনো চিত্র। বেশির ভাগ যাত্রী মাস্ক পরেছেন। কারো কারো হাতে গ্লাভসও দেখা গেছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কিছু যাত্রী একেবারেই অসচেতন। বলতে গেলে অনেকটাই উদাসীন। এদিকে রেল কর্তৃপক্ষ বলছেন, স্বাস্থ্যবিধিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যথভাবে ট্রেন স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। যাত্রীদেরও সচেতন হতে বলা হচ্ছে। কিন্তু কিছু কিছু যাত্রী সচেতনতাকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে অভিযোগ কতৃপক্ষের।