নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে চারটি গ্রামের অন্তত শতাধিক কাচা ঘর-বাড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় বজ্রপাতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। বুধবার (২৮ মে) গভীর রাতে আঘাত হানে কালবৈশাখী ঝড়। আহতরা হচ্ছেন, সোনাদিয়া ইউনিয়নের কেঞ্জাখালী গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে প্রিয়া বেগম (৮), একই এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে পিহাদ উদ্দিন (৬), জামাল উদ্দিন (৫০) ও আব্দুল মন্নান (৪৫)। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে হঠাৎ করে প্রথমে বাতাস শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে বাতাসের গতি বেড়ে কালবৈশাখী ঝড়ে রূপান্তরিত হয়। ঝড়ের আঘাতে সোনাদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাদিয়া, মাইজচরা, চরচেঙ্গা ও পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের শতাধিক কাচা ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হয়। এছাড়াও কয়েকটি ঘরের উপরের চাল বাতাসে উড়ে চলে গেছে। এসময় দিক বিদিক ছুটোছুটি করতে গিয়ে বজ্রপাতে ৪ জন আহত হয়েছে।
সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে এদের আর্থিক সহযোগিতা করা হবে। হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে সোনাদিয়ার কয়েকটি গ্রামের কাচা ঘর-বাড়ী ও গাছ পালা বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।