শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন

লালমোহন পৌরসভা ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন (শাহাবুদ্দিনের) জমি দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত প্রতিপক্ষ

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০২০
  • ২৫৪ Time View

ডেক্স রিপোর্টঃ লালমোহন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শাহাদাত হোসেন (শাহাবুদ্দিন) মিয়ার ক্রয়কৃত জমি জবর দখলসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন, আবুল কাশেম গং ও তার জামাতা রফিকুল ইসলাম। পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড হাসপাতালের উত্তর পাশে মাজেদ গংদের কাছ থেকে ৩২ শতাংশ ও আবুল কাশেমের কাছ থেকে ১৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন হাজী শাহাবুদ্দিন। আবুল কাশেম ১একর ৪৪ শতাংশ জমি থেকে হাজী শাহাবুদ্দিনের কাছে ১৮ শতাংশ জমি বিক্রয় করেন। আবুল কাসেম তার জমি থেকে জামাতা রফিকুল ইসলাম (রফিক ছাদী) কে ১২ শতাংশ জমি এই শর্তে দেন যে সে তার শশুররের অসুস্থ্যতার সেবা যতœ করবে বলিয়া তাকে দান দলিল সম্পাধন করেন। এর মধ্যে অনেক জমি বেশি দখল করে রেখেছেন আবুল কাশেম ও তার জামাতা রফিকুল ইসলাম।এক সময়ের বিএনপি জামাতের দোষর বর্তমান সময়ে হাইব্রিড আবুল কাশেম গংরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পৌর ৬নং ওয়ার্ডের হাজী শাহাবুদ্দিন মিয়ার ক্রয়কৃত ভোগ দখলীয় জমি দখলের পায়তারা শুরু করেছে। যার ফলে জমি মাপ ও সিমানা নির্ধারণেও রাজি হয় না কাশেম গং।

স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ন‚রুন্নবী চৌধুরী শাওন এ বিষয়টি অবগত হয়ে উভয় পক্ষকে ঈদেরপর মাপ গ্রহনের সিদ্ধান্ত দিলেও এমপি মহোদয়ের সিদ্ধান্ত কার্যত এরিয়ে যান কাশেম গং। বিভিন্নভাবে হাজী শাহাবুদ্দিন মিয়ার বিরুদ্ধে মনগড়া অপপ্রচারে লিপ্ত হন। লালমোহন পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব শাহাদাৎ হোসেন শাহাবুদ্দিন মিয়া জানান পারিবারিক কলহের জের ধরে বিএনপির দালাল ও মেজর হাফিজের আস্থাভাজন একসময় এর জামাতের নেতা রফিক সাদি ওরফে রফিক হুজুর সে আমাকে নিয়ে সাংবাদিকদেরকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করে। জমির মূল মালিক আবু মাজেদেরে নির্দেশে পরিত্যক্ত কাটা তারের বেড়ার খুটি অপসারন করা হয়। এর পর আবু মাজেদ আমাকে জমি বুঝিয়ে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আবুল কাসেম গং ও তার জামাতা রফিক হুজুর বিভিন্ন অনলাইন পত্র-পত্রিকায় উল্লেখ করে আমি নাকি বলেছি টাকা ছিটলে সাংবাদিক কিনা বা ম্যানেজ করা পক্ষে আনা কোন ব্যাপার না।

আমি এমন কোন কথা সাংবাদিক ভাইদেরকে নিয়ে কোন জায়গায় বলি নাই। রফিক হুজুর ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে সাংবাদিক ভাইদেরকে নিয়ে হ্যাও প্রতিপন্ন করে এবং সাংবাদিকদের সাথে আমার দূরুত্ব সৃষ্টি করার লক্ষে আমার বিরুদ্ধে তাদেরকে ব্যাবহার করার জন্য সু-কৌশলে নাটক সৃষ্টি করে। রফিক হুজুর মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে আমি তার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সাংবাদিক হলো জাতির বিবেক, সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষনে আমি বলতে চাই। রফিক হুজুর সাংবাদিকতার কার্ড অপব্যাবহার করে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে আমার ক্রয়কৃত ভোগ দখলীয় জমি তার শ^শুর কাসেম গং সহ জবর দখল করে রেখেছে। সাংবাদিক ভাইয়েরা বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করলেই আমি আমার প্রকৃত জমি তাদের থেকে ফিরে পাব। মূলত আমি সুনামের শহিত দীর্ঘ বছর ধরে তজুমদ্দিন উপজেলা সহ বিভিন্ন জায়গায় বর্তমান সরকাররের উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মান বিভিন্ন কর্মকান্ডে চলমান কাজ করে যাচ্ছি। এ সকল কাজে রফিকুল ইসলাম রফিক সাদি বিভিন্ন সময় আমার কাছ থেকে আমার কাজের লভ্যাংশের পার্সেন্টিজ চেয়ে থাকে, আমি দিতে অস্কৃতি জানাই, তাই সে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন এই বিষয়টি আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন মাননীয়, এম.পি মহোদয়ের নির্দেশকে উপেক্ষার প্রেক্ষিতে তথ্য যাচাই ও সরজমিন এ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লালমোহন পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সফিকুল ইসলাম বাদল, উপজেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মফিজুর রহমান(চেয়ারম্যান প্রাক্তন বি.আর.ডি.বি), পৌরসভা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মঞ্জু তালুকদার, পৌর সাংগঠনিক সম্পাদক আ, ন, ম, শাহজামাল দুলাল, পৌর আওয়ামীঃ সহ সভাপতি আব্দুল খালেক সওদাগর, পৌর আওয়ামীলীগ ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি ফজলুর রহমান, পৌরসভা আওয়ামীলীগ ৬নং ওয়ার্ড এর সাধারণ সম্পাদক মফিজ মিয়া, পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, পৌরসভা আওয়ামীলীগ এর সম্মানিত সদস্য অলিউর রহমান আরৎদার, পৌরসভা ৬ং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর সহ সভাপতি বদিউল আলম পান্নু, পৌরসভা আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বজলুর রহমান, লালমোহন উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি বদরুজ্জামান বাদল, সহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, এই জমি- জমার ঘটনা পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন।

এই জমি-জমার বিষয় উপজেলা আওয়ামীঃ আইন বিষয়ক সম্পাদক মফিজুর রহমান জানান আমরা স্বরজমিনে গিয়ে কাটা তারের বিষয়টি অবগত হয়ে দেখলাম হাজী শাহাবুদ্দিন তার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে সঠিক অবস্থানে বিদ্যমান আছেন। প্রতিপক্ষ জমির মালিক রফিক হুজুর ও তার শ^শুর কাসেম গংদের বাসায় গিয়ে তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগের বিষয় নিয়ে কোন সন্তোষজনক উত্তর আমরা পাইনি। হাজী শাহাবুদ্দিন মিয়া একজন ভদ্র লোক তার বিরুদ্ধে যারা খন্দকার মোস্তাকের ভূমিকায় অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে সকল কে শতর্ক থাকার আহবান জনাচ্ছি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin