গত ২৫ মে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত র্যাপিড করোনা টেস্ট কিটে তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা শনাক্তের পর তার খোঁজ খবর নিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। খোঁজ নিতে প্রথমে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ফোন করেন বেগম খালেদা, কিন্তু ঘুমিয়ে থাকায় ফোন ধরতে পারেননি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরে সন্ধ্যার দিকে খালেদা জিয়ার বাসা থেকে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্য কিছু ফল ও একগুচ্ছ ফুল পাঠানো হয় ঈদের শুভেচ্ছা এবং তার দ্রুত সুস্থতা কামনায়।
এ বিষয়ে জানতে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুলকে ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। তবে শামসুদ্দিন দিদার বলেন, আমরা বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্য ফুল ও ফল নিয়ে ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাই। পরে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিয়ে কুশল বিনিময় করেছি। বেগম খালেদা জিয়ার ঈদ শুভেচ্ছা পৌঁছে দিয়েছি। প্রত্যুত্তরে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীও ম্যাডামের জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া অসুস্থ জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বিকেলে ফোন করেছিলেন। কিন্তু জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঘুমিয়ে থাকায় খালেদা জিয়া তার সাথে কথা বলতে পারেননি। এদিকে, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে প্লাজমা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় তার শরীরে ‘ও’ পজিটিভ রক্তের ২০০ মিলি প্লাজমা দেয়া হয় বলে গণমাধ্যমকে ডা. জাফরুল্লাহ নিজেই জানিয়েছেন। প্লাজমা থেরাপি নেয়ার পর ভালো অনুভব করছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান ডা. জাফরুল্লাহ। একই তথ্য দিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সুস্থ আছেন বলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে আরও জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ডায়ালাইসিস নিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ডায়ালাইসিসের পরই করোনা চিকিৎসার জন্য প্লাজমা থেরাপি নেন তিনি। গত ২৫ মে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত র্যাপিড করোনা টেস্ট কিটে তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এ বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘র্যাপিড কিট দিয়ে টেস্ট করে আমার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে, যা সঠিক। তাই পিসিআর টেস্ট অপ্রয়োজনীয়। অপ্রয়োজনীয় কোনো কাজই আমি করিনি। এটাও করব না।’ জানা গেছে, করোনা পজিটিভ শনাক্তের পর থেকে ধানমণ্ডিতে নিজের বাসায় একটি কক্ষে আইসোলেশনে রয়েছেন এই চিকিৎসক।