শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৯:৪২ অপরাহ্ন

পানিতে দাঁড়িয়েই ঈদ জামাত

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৫ মে, ২০২০
  • ২৭৩ Time View

ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র উৎসবগুলোর একটা দুই ঈদ। ঈদের দিনটি আনন্দে উদযাপন করে পুরো বিশ্বের ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। কিন্তু খুলনার কয়রা উপজেলার মানুষদের ঈদের দিনটি কেটেছে ভিন্নরকম। সুপার সাইক্লোন আম্পানের ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে পুরো উপজেলাটি। আম্পানের তাণ্ডবে কয়রায় ১২১কি.মি বেড়িবাঁধের মধ্যে ২১ জায়গায় ৪০ কি.মি অধিক বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে আজ সোমবার (২৫ মে) ঈদুল ফিতরের দিন সেই ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ নির্মাণে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। পানিতে দাড়িয়েই আদায় করেছে ঈদের নামাজ।

নামাজ শেষে তারা অংশ নিয়েছেন বাঁধ নির্মানের কাজে। ঈদের নামাজে ইমামতি করেছেন প্রাক্তন কয়রা প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন। গত ২০ মে আম্পানের তাণ্ডবলীলায় নদী ও সমুদ্রের নোনা জলে বিলীন হয়ে গেছে এ অঞ্চলের মানুষের জনজীবন। বাঁধ ভেঙে অস্বাস্থ্যকর দূষিত নোনা পানির তলে অবস্থান করছে উপজেলাটির ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৬২ টি গ্রাম। আম্পানের ফলে উপজেলার ১ লাখ ৮৪ হাজারেরও অধিক মানুষ হয়েছে গৃহহীন। নোনা পানিতে ডুবে গেছে সাড়ে ৪ হেক্টর চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘের। নষ্ট হওয়া ১০-১১ মেট্রিক টন চিংড়ি ও সাদা মাছের বাজার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। নেই খাওয়া ও থাকার জায়গা, নোনা পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে সুন্দরবন কোল ঘেঁষা উপজেলার মানুষেরা। কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: হুমায়ুন কবির বলেন, নোনা জলে মানুষ চরম ভোগান্তিতে বসবাস করছে। আজ ঈদের ভাঙ্গা বাঁধের পাশে অনুষ্ঠিত হবার পর সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কয়রা উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, এবছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গাফলতি ও নিজস্ব ঠিকাদার দিয়ে নির্মিত বাঁধসমূহ আম্পানে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তিনি টেকসই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য পাউবো এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়কে আহবান করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin