আমার জীবনে দেখা চলমান সংকট সমগ্র বিশ্বব্যাপী এক মহাসংকট। এর মধ্যেই আয়তনে ছোট কিন্তু জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক দিয়ে অন্যতম বৃহত্তর রাষ্ট্র বাংলাদেশের জনসাধারণ অতিক্রম করছে একটি কঠিন সময়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এরকমই একটি সংকট মোকাবেলা করে আমরা এই দেশকে স্বাধীন করেছিলাম। হযরত শাহজালাল (রঃ), হজরত শাহপরানসহ (রঃ) হাজার, হাজার , ওলী, আউলিয়া, পীর, বুজুর্গ, ওলামা ও সুফি দরবেশরা শায়িত আছেন এই পবিত্র বাংলাদেশের মাটিতে।
যার কারণেই বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ধর্মীয় সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক উন্নয়ন চলমান রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সময় উপযোগী কার্যকরী পদক্ষেপ ও মহামারী মোকাবেলায় দেশ ও জনগণকে রক্ষার কার্যকর উদ্যোগ সর্বত্র প্রশংসিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার সংসদীয় এলাকা মৌলভীবাজার-২ তথা কুলাউড়ায় মহামারী মোকাবেলায় সরকারি নীতি বাস্তবায়নসহ, স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে জনসাধারণকে রক্ষার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সেক্ষেত্রে প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক, রাজনৈতিক শক্তিও ভূমিকা রাখছেন। বিশেষ ভাবে প্রবাসে অবস্থান রত আমার সংসদীয় এলাকার ভাই বোনেরা অনেকেই আমার সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে পৌরসভাসহ ১৪ ইউনিয়ন, গ্রাম, ওয়ার্ডে ত্রাণ বিতরণ ও অর্থ সাহায্য প্রদান অব্যাহত রেখেছেন।
পজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, স্বাস্থ্য কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের সকলের জন্য মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবন কামনা করছি। সেই সাথে করোনা প্রতিরোধ করতে গিয়ে ও আক্রান্ত হয়ে, এবং ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ বাহিনী, র্যাব, ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, সংবাদকর্মী, স্কাউট সামজিক সংগঠনসহ সাধারণ মানুষ যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
পরিশেষে সকলের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু, ও সুন্দর জীবন প্রত্যাশা করছি।আসুন এই মহাসংকটে সকল রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে পবিত্র ঈদুল ফিতরের মর্মবাণীকে ধারণ করে ৭১’র ন্যায় ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশ ও জনগণের পাশে দাড়াই। আর এটাই হোক পবিত্র ঈদুল ফিতরের জনপ্রত্যাশা। দেশ ও বিদেশের সকল ভাই বোন ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় হোক বাংলার জনগণের।