ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় চব্বিশ পরগনা জেয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতি বেগে ছিল ১৩০ কি:মি। ঝড়ের তাণ্ডবে প্রায় লন্ডভন্ড হচ্ছে কলকাতা। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার (২০ মে) স্থানীয় সময় আড়াইটার দিকে ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার বেগে সুন্দরবন উপকূলের সাগরদ্বীপে আছড়ে পড়ে আম্পান। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৮৫ কিলোমিটার। সকাল পর্যন্ত এই ঝড় চলবে বলে ধারণা করছে সেখানকার আবহাওয়া অফিস।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ঝড়ের পুরোটাই বাংলার ওপর দিয়ে গিয়েছে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কমপক্ষে ১০-১২ জনের মৃত্যুর খবর জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা। শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে জানা গেছে। উড়িষ্যা ও কলকাতায় ঝড়ের সঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। হাওড়া এবং হুগলি এলাকাতেও ব্যাপক তাণ্ডব চলছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মাটির ঘর ভেঙ্গে পড়েছে।
দুই জেলায় এরই মধ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সুন্দরবন উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু বাধ ভেঙ্গে আশেপাশের গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ২৭টি গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে আরও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।