মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩০ অপরাহ্ন

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ব্যর্থ : ফখরুল

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২০ মে, ২০২০
  • ৩৫৬ Time View

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ব্যর্থ মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে কিছুই করেনি। যা মানুষের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। অথচ সরকার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বানিয়েছে, বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট বানিয়েছে। কিন্তু মানুষের যেটা মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার সেই স্বাস্থ্য খাতের জন্য কিছু করেনি সরকার।আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, যেখানে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে বর্তমান সরকার অবহেলা করছে। করোনা টেস্ট করানোর জন্য মানুষ মধ্যরাত থেকে লাইনে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু তারা টেস্ট করাতে পারছে না।বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত সরকারকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সরকার সবকিছুতেই ষড়যন্ত্র খুঁজে। লকডাউন শিথিল করে মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হয়েছে। পুরানো ঢাকায় দেখবেন হাজার হাজার মানুষের ঢল। কিসের সামাজিক দূরত্ব। করোনা প্রতিরোধে নির্দেশনা মানা হচ্ছে না।এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সামাজিক দূরত্বসহ অন্যান্য নির্দেশনা মেনেই তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেছেন। শারীরিক খোঁজ-খবর নেয়াসহ কুশল বিনিময় ও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, করোনাভাইরাসে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন বিশেষ করে চিকিৎস, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক, আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য, ব্যাংকার, পেশাজীবী, শ্রমজীবী মানুষ, তাদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যারা এই করোনা মোকাবিলায় অগ্রসেনানী হিসেবে কাজ করছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যসেবী কর্মী, বিভিন্ন আইন-শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যসহ, সাংবাদিক, বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মী, ব্যাংকার, শ্রমজীবী মানুষ (গার্মেন্টস কর্মী) অর্থনীতিকে বাচিয়ে রাখতে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তাদের।তিনি বলেন, প্রায় সোয়া দুই মাস আগে বাংলাদেশে করোনা রোগী শনাক্তের পর সরকারের সমন্বয়হীনতা ও উদাসীনতায় এখন প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্তান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। মানুষের জীবন বাঁচাতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। যখন চীনে করোনা মহামারি শুরু হলো তখন সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। তখন তারা অন্য একটি অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। প্রথম থেকে তারা যথাযথ পদক্ষেপ নিলে তাহলে আজ লাশের সারি দীর্ঘ হতো না। জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহিতা না থাকার কারণে সরকার এমন আচরণ করেছে। মানুষকে বাঁচাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যদি তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার হতেন তাহলে তারা জনগণের জন্য ব্যবস্থা নিতেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদিকে খাদ্যের জন্য হাহাকার চলছে। দেশের সব জেলায়ই ত্রাণের জন্য গরীব অসহায় মানুষ বিক্ষোভ করছে , সড়ক অবরোধ করছে। অন্যদিকে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না করোনা আক্রান্তরা। এমনকি অন্যান্য রোগে আক্রান্তরাও যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। বিনা চিকিৎসায় পথে, ঘাটে, বাসে, ফুটপাতে এখন লাশ পড়ে থাকার খবর বের হচ্ছে। এটা কী নিদারুণ অবস্থা। শাহবাগে লম্বা লাইন ধরে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও করোনা টেস্ট করাতে না পেরে সড়কেই ছেলে – মেয়ের চোখের সামনে প্রাণ হারিয়েছেন বৃদ্ধ। করোনার টেস্ট করতে মানুষ হয়রানীর শিকার হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin